চলমান ডলার সংকট কিছুটা লাঘব করতে চীন ও ভারতসহ বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর থেকে জিটুজি চুক্তির ভিত্তিতে ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৬ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বৈঠক শেষে তাকে উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের একথা জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের বিষয়ে বলেছেন, এই মুহূর্তে বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর থেকে ঋণ পাওয়া গেলে রিজার্ভ কিছুটা সহায়তা পাবে। এজন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বৈদেশিক অর্থায়নের প্রকল্প পর্যালোচনা, অনুমোদন ও বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন তিনি।
সরকার-প্রধান বলেন, এবিষয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের কিছুটা অনীহা থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে কোনো অবহেলা যেন না হয়।
বৈঠকে সরকারের ব্যয় সংকোচনের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করলেও, সরকারি কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা অনুযায়ী গাড়ি সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া, রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা বর্তমানের ২.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩.৫ শতাংশ করার বিষয়েও আলোচনা হয় একনেক বৈঠকে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্সের প্রণোদনার হার বাড়ানো যায় কিনা – সেবিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।” ঈদুল আযহার আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ার আশাও করছে সরকার।