রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি চেয়ে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের করা আবেদন গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে দলটিকে শেষ পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি সদরদপ্তরের যুগ্ম-কমিশনার (অপারেশনস্) বিপ্লব কুমার সরকার।
তিনি বলেন, জামায়াতের একটি প্রতিনিধিদল ডিএমপি সদরদপ্তরে এসেছিল। তারা আগামী ১০ জুন রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি চান। কমিশনার মহোদয়ের কার্যালয় থেকে আবেদনপত্রটি গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অনুমতি দেওয়া হবে কি হবে না, সে সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের অনুমতি পেলে কোনো ধরনের নাশকতা করা হবে না।
সেক্ষেত্রে অনুমতির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, তারা (জামায়াত) তো তাদের কথা বলেছেন; আমরা দেখবো আমাদের বিষয়। কমিশনার স্যার সব দিক বিবেচনা করে, তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেবেন অনুমতির দেওয়া হবে কি না।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জামায়াতের আট সদস্যের প্রতিনিধিদল রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে অনুমতিপত্র দেয়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন- অ্যাডভোকেট মো. সাইফুর রহমান, অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসাইন, অ্যাডভোকেট জালাল আহমেদ, মো. তরিকুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম।
বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের প্রধান অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান।
তিনি বলেন, আগামী ১০ জুন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ করার জন্য ডিএমপির কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। পুলিশ আমাদের আবেদন নিয়েছে। অনুমতির দেওয়ার বিষয়ে পরে জানাবে বলে জানিয়েছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ দলের নেতা ও অন্য ওলামাদের মুক্তি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গতকাল সোমবার (৫ জুন) রাজধানীতে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি করার কথা ছিল জামায়াতের। কিন্তু কর্মদিবস ও অফিস-আদালত সবকিছু খোলা থাকায় জনদুর্ভোগের কারণ দেখিয়ে ডিএমপি সমাবেশের অনুমতি দেয় নি। পরে কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে জামায়াত।
ওইদিনই বিকেলে আগামী ১০ জুন দুপুর ২টা থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান আকন্দ। সেই কর্মসূচির অনুমতিপত্র নিয়ে আজ বিকেলে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ে যায় জামায়াতের প্রতিনিধিদল।
এর আগে গত রোববার (৪ জুন) জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বায়তুল মোকাররমের সামনে সোমবারের (৫ জুন) পূর্বঘোষিত কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নে প্রশাসন জামায়াতকে করবে। সভা-সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। এ অধিকার ক্ষুণ্ন করলে এর দায়ভার প্রশাসনের ওপর বর্তাবে। ওইদিন অনুমতি ছাড়াই তিন দফা দাবিতে ৫ জুনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল দলটি। কিন্তু ডিএমপির অনুমতি না মেলায় শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।