বেশি বেশি ইস্তেগফার করা:
“তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় তিনি মহা ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাত করবেন। তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সমৃদ্ধ করবেন এবং তোমাদের জন্য স্থাপন করবেন বহু বাগান ও প্রবাহিত করবেন নদী-নালা।”
(সুরা নুহ ৭১: ১০-১২)
আল্লাহকে ভয় করে চলা:
“…আর যে কেউ আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তার নিষ্কৃতির পথ (সমস্যা সমাধানের পথ)করে দেবেন।এবং তাকে তার ধারণাতীত উৎস হতে রুযী দান করবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর নির্ভর করবে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট হবেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেনই। আল্লাহ সবকিছুর জন্য স্থির করেছেন নির্দিষ্ট মাত্রা।”
(সুরা ত্বলাক : ২-৩)
“… আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছে তার রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছে কমিয়ে দেন।…”
(সুরা আল ক্বাসাস -৮২)
সৎ কাজ করা ও দু’আ করা:
কেবল সৎ কর্মই আয়ু বৃদ্ধি করে এবং দু’আ ব্যতীত অন্য কিছুতে তাকদীর রদ হয় না। মানুষের অসৎ কর্মই তাকে রিজিক বঞ্চিত করে।”
(ইবনে মাজাহ: ৯০)
“দু’আ ছাড়া আর কিছুই তাকদীর রদ করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে (আয়ু) বৃদ্ধি ঘটায় না।”
(তিরমিজী -২১৪২)
বেশি বেশি দান খয়রাত করা:
“নিশ্চয় আমার রব তো তার বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছে রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং তার জন্য সীমিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর রাস্তায় খরচ করবে, তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।”
(সুরা ৩৪: ৩৯)
প্রতিদিন ভোরে দু’জন ফেরেশতা নাযিল হয়। তাদের একজন এ দু’আ করতে থাকে যে, “হে আল্লাহ, আপনি (আল্লাহর রাস্তায়) ব্যয়কারীকে বিনিময় দিন। আরেকজন দু’আ করে যে, হে আল্লাহ, যে ব্যয় করে না তার সম্পদ ধ্বংস করে দিন”
[বুখারী:১৪৪২, মুসলিম:১০১০]
আত্মীয়তা সম্পর্ক বজায়/রক্ষা করা:
“যে ব্যাক্তি চায় যে, তার রিযক প্রশস্ত হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি হোক; সে যেন তার আত্নীয়তার সম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখে।”
(বুখারী: ৫৫৬০)
দু’আ করা;
“হে আল্লাহ্! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিজিক ও এবং কবূল হওয়ার যোগ্য কর্মতৎপরতা প্রার্থনা করি।”
(ইবনে মাজাহ ৯২৫)
নিম্নলিখিত বিধান মেনে চলা:
১. সৎকর্মশীল হতে হবে।
২. সকল প্রকার হারাম থেকে বেচে থাকতে হবে।
৩. যার হক তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে ও ইন্সাফ করতে হবে।
৪. ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে।
৫. জিহবা জিকিরে সিক্ত থাকতে হবে।
৬. অপচয় থেকে বেচে থাকতে হবে।
৭. নজরকে হেফাজত করতে হবে, পর্দা করতে হবে।
৮. নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়া জান্নাতীদের লক্ষণ।
৯. আত্মশুদ্ধি দুনইয়া ও আখিরাতে সফলতা আনে।
IFM desk