বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:২১ পূর্বাহ্ন




বোলিং ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩ ৯:১২ pm
bcb খেলা Bangladesh Cricket board bcb বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি bcb bcb bcb ক্রিকেট বাংলাদেশ-cricket Cricket cricket খেলা ICC Women T20 World Cup Women's Cricket Team t20 2024 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আইসিসি মহিলা টি২০ বিশ্বকাপ আইসিসি মহিলা বিশ্ব টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট bcb women cricket ক্রিকেট বিশ্বকাপ মেয়েরা bcb women cricket ক্রিকেট বিশ্বকাপ মেয়েরা tigress bcb cricket খেলা FIFA Logo federation international football association FIFA World Cup ফেডারেশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল এসোসিয়েশন ফিফা bcb BCB cricket bangladesh cricket ক্রিকেট BCB cricket বিসিবি বিসিবি খেলা বিসিবি ক্রিকেট sports cricket stadium স্টেডিয়াম খেলা game ফুটবল ক্রিকেট cricket bcb BCB cricket bangladesh cricket ক্রিকেট BCB cricket বিসিবি বিসিবি খেলা বিসিবি ক্রিকেট sports cricket stadium স্টেডিয়াম খেলা game ফুটবল ক্রিকেট cricket FIFA football World Cup Qatar কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল Stadium FIFA football World Cup Qatar কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল স্টেডিয়াম
file pic

সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ৪৪.৪ ওভারে ৩০৭/২, লক্ষ্য ৩০৭ (মিচেল মার্শ ১৭৭*, স্টিভেন স্মিথ ৬৩*; ট্রাভিস হেড ১০, ডেভিড ওয়ার্নার ৫৩)

বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৩০৬/৮ (শেখ মেহেদী ২*, তাসকিন ০*; তানজিদ ৩৬, লিটন ৩৬, শান্ত ৪৫, মাহমুদউল্লাহ ৩২, মুশফিক ২১, তাওহীদ ৭৪, মিরাজ ২৯, নাসুম ৭)

ফল: অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে জয়ী।

৩০৭ রানের টার্গেট দিয়েও লড়াই জমাতে পারলো না বাংলাদেশ। বোলারদের নখদন্তহীন পারফরম্যান্সে হার দিয়ে শেষ হলো তাদের বিশ্বকাপ। মিচেল মার্শ দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখালেন ব্যাট হাতে। ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভ স্মিথের কাছ থেকে পেলেন উপযুক্ত সঙ্গ। তাতে করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনাল খেলার আগে উজ্জীবিত হওয়ার মতো জয় পেলো অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটে তারা হারিয়েছে বাংলাদেশকে। ৪৪.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৩০৭ রান করে অজিরা।

অস্ট্রেলিয়া তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতলো ৪৫তম ওভারেই। আগামী বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে খেলবে তারা।

তৃতীয় ওভারে ১২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে ভালো শুরু করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দাঁড়িয়ে যান মার্শ ও ওয়ার্নার। ১২০ রানের শক্ত জুটি ভেঙে লড়াইয়ে ফেরার ইঙ্গিত দেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়ার্নার ৫৩ রান করে থামেন। মার্শ ও স্মিথ জুটি বাঁধলে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিশ্বকাপের নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিকে দেড়শর ঘরে নেন মার্শ। হাফ সেঞ্চুরি করেন স্মিথ। দুজনের ১৭৫ রানের শক্ত জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। ১৩২ বলে ১৭ চার ও ৯ ছয়ে ১৭৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা মার্শ। স্মিথ ৬৪ বল খেলে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।

এই হারের পরও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের স্থান আট নম্বরেই আছে। তবে এখনও নিশ্চিত নয়। ভারতের কাছে নেদারল্যান্ডস পরের ম্যাচ হারলেই ২০২৫ সালে পাকিস্তানে যাওয়ার টিকিট কাটবে তারা।

মার্শের দেড়শ, স্মিথের ফিফটিতে ছুটছে অস্ট্রেলিয়া

ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ১২০ রানের জুটি ভাঙলেও থামানো যায়নি মার্শের আগ্রাসন। চড়াও হয়ে খেলে তুলে নিয়েছেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেয়েছেন ৮৭ বলে। মার্শের সেঞ্চুরির পর দলের স্কোর দুইশও ছাড়ায়। ওখানেই থামেননি, ক্যারিয়ারে প্রথমবার দেড়শ করেছেন তিনি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন স্টিভেন স্মিথ। বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যৌথ সর্বোচ্চ ১১তম পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলে অপরাজিত তিনি। ৫৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন স্মিথ। বাংলাদেশকে হতাশ করছে এই জুটি।

১২০ রানের জুটি ভাঙলেন মোস্তাফিজ

১২ রানে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট। তার পর বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয় মার্শ-ওয়ার্নার জুটি। সুবিধাজনক জায়গায় নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তারা। ২২.১ ওভারে ১২০ রানের জুটি ভেঙে স্বস্তি ফিরিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ওয়ার্নারকে শান্তর ক্যাচ বানিয়েছেন কাটার মাস্টার। তাতে ৬১ বলে ৫৩ রানে থেমেছেন অজি ওপেনার। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।

মার্শের পর ওয়ার্নারের ফিফটি

মার্শ শুরু থেকে চড়াও হয়ে খেললেও সাবধানি ছিলেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। ধীরে সুস্থে খেলেই মার্শকে সঙ্গ দিয়েছেন। তাতে একশ ছাড়িয়েছে তাদের জুটি। মার্শের পর ৩৩তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন ওয়ার্নার। বামহাতি ওপেনার ফিফটির দেখা পেয়েছেন ৫২ বলে। তাতে ছিল ৬টি চার।

৩৭ বলে ফিফটি তুলে নিয়েছেন মার্শ

হেডের বিদায়ের পর মূলত চড়াও হয়ে খেলেছেন মিচেল মার্শ। ৩৭ বলে তুলে নিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১৫তম ওভারেই অজিদের স্কোর দাঁড়ায় এক উইকেটে ১০০। অপরপ্রান্তে থাকা ওয়ার্নার অবশ্য ধীরে সুস্থে খেলে তার সঙ্গে জুটি গড়েছেন।

হেডের বিদায়ের পর পাওয়ার প্লেতে অস্ট্রেলিয়ার ৫৮

১২ রানে ট্রাভিসকে হেডকে তুলে নিয়েই অজিদের চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সেই চাপ মুহূর্তেই দূর করেছেন মিচেল মার্শ। তার চড়াও হওয়া ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে স্কোর দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৫৮। ১০ ওভার শেষে তার স্কোর ছিল ২১ বলে ৩০ রান! সঙ্গে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার ধীরে সুস্থে খেলছেন।

হেডকে তুলে নিয়েছেন তাসকিন।
হেডকে তুলে নিয়েছেন তাসকিন।
শুরুতেই হেডকে বোল্ড করেছেন তাসকিন

অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিয়ে শুরুতেই আঘাত হেনেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে আক্রমণাত্মক ওপেনার ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করেছেন তাসকিন। তার গতিময় বোলিংয়ে হেড টেনে শট খেলতে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে। ফেরার আগে ২ চারে ১১ রান করেছেন হেড।

অস্ট্রেলিয়াকে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

পুনেতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিশ্চিত করার লড়াইয়ে শুরুতে ব্যাটাররা নিজেদের কাজটা সেরে রাখলো। অজিদের সামনে ছুড়ে দিয়েছে ৩০৭ রানের লক্ষ্য। অবশ্য টপের ব্যাটাররা যেভাবে খেলছিলেন তাতে সাড়ে তিনশোও অসম্ভব ছিল না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারিয়ে ছন্দ নষ্ট করেছে তারা।

তানজিদ ও লিটন ৩৬ রান করে আউট হয়েছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ঝুঁকি নিতে গিয়ে রানআউটে ফিরেছেন ৪৫ রানে। মাহমুদউল্লাহও ঝড়ো গতিতে খেলে রানআউটে কাটা পড়েছেন ৩২ রানে। মুশফিক ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তাওহীদ হৃদয়ের ৭৪ রানের ইনিংসে স্কোরটা তিনশোর কাছাকাছি গেছে। তার পর তিনশ ছাড়াতে অবদান রেখেছেন মিরাজ। শেষ ওভারে অফস্পিনিং অলরাউন্ডার ২৯ রানে আউট হওয়ার পর বাকিরা সেভাবে রান তুলতে পারেনি। বাংলাদেশ ৮ উইকেটে করতে পারে ৩০৬ রান। তাতে টুর্নামেন্টে প্রথমবার তিনশ ছাড়ানো স্কোরের দেখা পেয়েছে তারা।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩২ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন লেগস্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। ৬১ রানে সমসংখ্যক উইকেট নিয়েছেন শন অ্যাবটও। একটি নিয়েছেন মার্কাস স্টয়নিস।

হৃদয়ের ৭৪ রানে ভর করে এগিয়েছে বাংলাদেশ।
হৃদয়ের ৭৪ রানে ভর করে এগিয়েছে বাংলাদেশ।
হৃদয় থামলেন ৭৪ রানে

বাকিরা দারুণ ব্যাটিং করলেও ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না। সেখানে প্রান্ত ধরে স্কোরবোর্ড সচল রাখছিলেন হৃদয়। তার ব্যাটেই স্কোর তিনশোর কাছাকাছি গেছে। শেষ দিকে হৃদয় আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। ৪৬.৩ ওভারে স্টয়নিসের বলে মেরে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তাতে ৭৪ রানে থেমেছেন হৃদয়। তার ৭৯ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছয়।

স্কোর আড়াইশ পার হতেই ক্যাচ আউট মুশফিক

দারুণ ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখলেও থিতু হতে পারছেন না ব্যাটাররা। বড় হয়নি জুটি। সর্বশেষ দারুণ জুটিতে অবদান রাখা মুশফিকও ফিরেছেন উইকেট বিলিয়ে। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ৩৭ রানের জুটিতে স্কোর আড়াইশ পার হতে অবদান রেখেছিলেন। কিন্তু যখন রান বাড়িয়ে নেওয়াই মূল লক্ষ্য তখন ৪২.১ ওভারে জাম্পার বলে পুল করতে গিয়ে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। তাতে ২৪ বলে ২১ রানে থেমেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার ইনিংসে ছিল একটি ছয়।

হৃদয়ের ষষ্ঠ ফিফটি

টপের ব্যাটাররা ইনিংসকে ফিফটিতে পরিণত করতে না পারলেও ফিফটি তুলে নিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। দুটি দারুণ জুটিতে অবদান রেখে ৬১ বলে ওয়ানডের ষষ্ঠ ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি।

আরেকটি রানআউট, সাজঘরে মাহমুদউল্লাহ

শান্তর অহেতুক রানআউটে ভেঙেছে সম্ভাবনাময় জুটি। একইরকম ঝুঁকি নেওয়ার প্রবনতায় ভেঙেছে মাহমুদউল্লাহ-হৃদয়ের সম্ভাবনাময় জুটিটিও। অযথা সিঙ্গেল নেওয়ার তাড়নায় রানআউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তাতে ভেঙেছে ৪৪ রানের দারুণ জুটি। মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন ৩২ রানে। তার ২৮ বলের ইনিংসে ছিল ১টি চার ও ৩টি ছয়।

হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ জুটি
জুটি গড়ে খেলেছেন হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ।
মাহমুদউল্লাহর ঝড়ে ৩২ ওভারেই স্কোর দুইশ ছাড়িয়েছে

শান্তর অহেতুক রানআউটে ছন্দ হারানোর সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু নতুন নামা মাহমুদউল্লাহ সেটি হতে দেননি। ঝড়ো গতিতে খেলে ৩২ ওভারেই স্কোর দুইশ ছাড়াতে অবদান রেখেছেন। মার্শের ৩২তম ওভারটিতে ১৮ রান তুলেছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার!

রানআউট শান্ত, ভাঙলো ৬৬ রানের জুটি

১০৬ রানে লিটন উইকেট ছুড়ে এলে রানের গতি কিছুটা কমে আসে। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর সময় নিয়ে রান বাড়িয়ে নিতে থাকেন তাওহীদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। আক্রমণাত্মক এই জুটিতেই ২৫ ওভারে স্কোর দেড়শ ছাড়িয়েছ। ২৭.৫ ওভারে স্কোর ১৭০ রান হয়েছে তাদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে। ঠিক এই সময়ে রানআউট হয়েছেন শান্ত। ঝুঁকি নিয়ে দুই রান নেওয়ার তাড়ায় ৫ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। তাতে ৫৭ বলে ৪৫ রানে থেমেছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।

সেই জাম্পার বলেই ক্যাচ আউট লিটন

১৫তম ওভারেই অল্পের জন্য জীবনও পেয়েছিলেন লিটন। অ্যাডাম জাম্পার বলে মিডউইকেটে ক্যাচ উঠেছিল। সেটি হাতে জমাতে পারেননি কামিন্স। এক ওভার পর অবশ্য সেই জাম্পার বলে উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন তিনি। তাতে দারুণ একটি ইনিংসের অপমৃত্যু হয়েছে ৩৬ রানে। তার ৪৫ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।

১৬ ওভারেই একশ ছাড়িয়েছে বাংলাদেশের স্কোর

৭৬ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও রানের চাকা সচল রেখেছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত-লিটন দাস মিলে একই ছন্দে খেলার চেষ্টা করছেন। তাতে ১৬তম ওভারে স্কোর একশ ছাড়িয়েছে।

৭৬ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলো তানজিদের বিদায়ে

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন তানজিদ-লিটন। বিশ্বকাপে পাওয়ার প্লেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর গড়তে অবদান রাখেন তারা। ৭৬ রানের দারুণ জুটি ভাঙে তানজিদের বিদায়ে।

ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ১১.২ ওভারে শন অ্যাবটের শর্ট বলে কপাল পোড়ে তার। বাউন্স ঠিকমতো সামলাতে পারেননি। লিডিং এজ হয়ে জমা পড়েছেন অ্যাবটের হাতে। তাতে ৩৪ বলে ৩৬ রানে থেমেছেন তানজিদ। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার।

দারুণ জুটি উপহার দিয়েছেন তানজিদ-লিটন।
দারুণ জুটি উপহার দিয়েছেন তানজিদ-লিটন।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের ৬২

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামলেও শুরুটা দুর্দান্ত করেছে বাংলাদেশ। পুনের পিচে শুরুতে সতর্ক ব্যাটিং করলেও ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন দুই ওপেনার। নবম ওভারেই লিটন-তানজিদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে। পাওয়ার প্লেতেও স্কোর দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৬২।

বাংলাদেশের সতর্ক শুরু

শুরুতে দেখে শুনেই খেলেছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার শট খেলার ক্ষেত্রে ছিলেন ভীষণ সতর্ক। তাতে ৫ ওভারে স্কোর ছিল বিনা উইকেটে ২০। বাউন্ডারিও এসেছে মাত্র একটি।

টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে অজি দল

বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচটি অজিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ না হলেও বাংলাদেশের জন্য ভীষণ রকম গুরুত্বপূর্ণ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা নিশ্চিত করতে চাইলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে। আর হেরে গেলে তাকিয়ে থাকতে হবে ভারত ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচের দিকে। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খুব বাজেভাবেও হারা যাবে না। সেই দিকে নজর রাখতেই হবে।

তাছাড়া ডাচদের বিপক্ষে ভারত জিতলে বাংলাদেশের জন্য সমস্যা নেই। কিন্তু হেরে গেলে নেদারল্যান্ডস অষ্টম দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত করবে। এমন ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে শান্তদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে তারা।

টস হারলেও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন জানিয়েছেন , শুরুতে তারা ব্যাটিং করতেন। অজি অধিনায়ক কামিন্স জানিয়েছেন, সকালের শুরুতে পিচ থেকে সুবিধা মিলতে পারে দেখেই বোলিং নিয়েছেন তারা।

একাদশে কারা

প্রত্যাশিতভাবে অস্ট্রেলিয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে বিশ্রামে পাঠিয়েছে। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে মিচেল স্টার্ককেও। ফিরেছেন স্টিভেন স্মিথ ও অ্যাবট।

বাংলাদেশ দলেও প্রত্যাশিত পরিবর্তন আসতোই। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব ছিটকে গেছেন। একাদশে স্থান হয়নি দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসানের। তাদের জায়গায় এসেছেন নাসুম আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান, নাজমুুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহীদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, স্টিভেন স্মিথ, মার্নাস লাবুশেন, জশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), মার্কাস স্টয়নিস, শন অ্যাবট, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজলউড।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD