প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গ্যাস বিক্রির মুচলেকা না দেওয়ায় ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারেনি। আমার কাছে ক্ষমতা নয়, দেশের স্বার্থই বড়। দেশের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে হবে- এমন দৈন্যতায় শেখ মুজিবের কন্যা ভোগে না।’
তিনি বলেন, নির্বাচনে হারাবার জন্য শুধু বিদেশিদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কীভাবে আওয়ামী লীগকে হারানো যায় সেটা আমাদের দেশের কিছু মানুষও চান।
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়, অর্থনীতি চাঙা থাকে।’ বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশে মাথা উঁচু করে চলবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদিন নরসিংদীতে নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন করেন। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কারখানা। এটি সার আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রী পলাশ উপজেলায় জিপিইউএফএফ প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বার্ষিক নয় লাখ ২৪ হাজার টন সার উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক এ কারখানার উদ্বোধন করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, তিন দশকের পুরানো কারখানাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নতুন করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন এবং প্রকল্পের শুরু থেকেই বিদেশি বিশেষজ্ঞদের দ্বারা যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিবহন সুবিধার লক্ষ্যে ঘোড়াশাল রেলওয়ে স্টেশনের সাথে কারখানার সংযোগের জন্য একটি রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সার কারখানা পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম এবং জিপিইউএফএফ উদ্বোধনের দিনটিকে চিহ্নিত করে একটি বিশেষ সিলমোহরও প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, আনোয়ারুল আশরাফ খান এমপি ও সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদীতে নবনির্মিত ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এ ধরণের বৃহত্তম কারখানা। এটি সার আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে সহায়তা করবে।
রবিবার পলাশ উপজেলায় জিপিইউএফএফ প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন সার উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক এই কারখানার উদ্বোধন করেন তিনি।
তিন দশকের পুরানো কারখানাটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নতুন করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি স্থাপন এবং প্রকল্পের শুরু থেকেই বিদেশী বিশেষজ্ঞদের দ্বারা যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল প্রস্তুত করা হয়েছে। পরিবহন সুবিধার লক্ষ্যে ঘোড়াশাল রেলওয়ে স্টেশনের সাথে কারখানার সংযোগের জন্য একটি রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী সার কারখানা পরিদর্শন করেন।
প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকেট, উদ্বোধনী খাম এবং জিপিইউএফএফ উদ্বোধনের দিনটিকে চিহ্নিত করে একটি বিশেষ সীলমোহরও প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে প্রকল্পের উপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। তিনি মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক মহাসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে তিনি নরসিংদীতে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
কারখানার কার্যক্রম শুরু হলে সার আমদানির উপর নির্ভরতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। কারণ দেশের মোট বার্ষিক ২৬ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে স্থানীয় কারখানাগুলো একসাথে ১৯.২৪ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদন করবে।
স্থানীয় কারখানাগুলো বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ টন উৎপাদন করছে এবং বাকি বার্ষিক চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানায়, কারখানাটি ৩০,০০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। ১১০ একর জমিতে ১৫,৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কারখানাটির দৈনিক সার উৎপাদন হবে ২৮০০ মেট্রিক টন। মোট ব্যয়ের মধ্যে, সরকার ৪,৫৮০.২১ কোটি টাকা দিয়েছে এবং ১০.৯২০ কোটি টাকা জাইকা, এইচএসবিসি এবং ব্যাংক অফ টোকিও মিত্সুবিশি ইউএফজে লিমিটেড থেকে ব্যবসায়িক ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছে।
কারখানার দুটি বাষ্পীয় গ্যাস জেনারেটর ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম এবং প্ল্যান্টটি চালানোর জন্য ২৮ মেগাওয়াট প্রয়োজন। এটি বাংলাদেশের প্রথম সার কারখানা যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্লু গ্যাস থেকে পরিবেশ দূষণকারী আহরণ করা হবে এবং ক্যাপচার করা কার্বন-ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে ইউরিয়া সারের উৎপাদন বৃদ্ধি করা হবে (প্রায় ১০ শতাংশ)। দেশে ‘অত্যাধুনিক, শক্তি সাশ্রয়ী এবং সবুজ’ সার কারখানা যা ইউরিয়া সারের আমদানি কমিয়ে দেবে এবং কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে।