রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ১০:২০ অপরাহ্ন




তফশিল ঘোষণা হলে অভিন্ন কর্মসূচি

তফশিল ঘোষণা হলে অভিন্ন কর্মসূচি: বিএনপির পাশাপাশি মাঠে নামছে বাম দলও

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৩ ৯:৩১ am
রাজনীতি Dhaka Metropolitan Police dmp ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি রোড accident rash road যানজট রাস্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি dhaka তল্লাশিচৌকি ঢাকা বিএনপির গাবতলী ঢাকামুখী বাস যানবাহন তল্লাশি পুলিশ ঢাকা প্রবেশমুখ Bangladesh Police বাংলাদেশ পুলিশ নয়াপল্টন রোড accident rash road যানজট রাস্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি police vigilant পুলিশ অভিযান মোতায়েন bnp বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর Bangladesh Nationalist Party BNP ‎বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি বিএনপি গণসমাবেশ Bangladesh Nationalist Party BNP Mirza Fakhrul Islam Alamgir বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর police Panchagarh পঞ্চগড় panchagarch police bnp
file pic

সরকার পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে বিরোধীদের বেশিরভাগ এখন একাট্টা। রাজনৈতিক সংকট সুরাহা না করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হলে প্রায় অভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে তারা। বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোট চূড়ান্ত আন্দোলনে রয়েছে। তফশিলের পর থেকে লাগাতার কঠোর কর্মসূচিতে যাবে সমমনা অন্তত ৩৮টি রাজনৈতিক দল। অন্যদিকে যুগপৎ আন্দোলনে না থাকলেও একই কর্মসূচি পালন করবে জামায়াতে ইসলামী। পাশাপাশি অবরোধ-হরতালের কর্মসূচি দেওয়ার চিন্তা করছে বাম গণতান্ত্রিক জোটও। চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি হাইকমান্ডের যোগাযোগ রয়েছে। তারাও মাঠে নামবে বলে হাইকমান্ডকে জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিরোধী অধিকাংশ দলই একমত। সরকারের পদত্যাগসহ বিভিন্ন দাবিতে মাঠেও রয়েছে। যার যার অবস্থান থেকে দাবি আদায়ে তারা রাজপথে থাকবেন। কারণ ’১৪ ও ’১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে কী হয়েছে তা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থেই গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব। সেই জায়গা থেকেই ডান, বাম ও ইসলামী দলগুলো সরকারের পদত্যাগ চায়। দেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। দেশের জনগণেরও একই চাওয়া।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে না। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারসহ জনগণের সব অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই আন্দোলন। যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটের পাশাপাশি দেশের অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দলেরও একই দাবি। বিএনপি ও সমমনারা আন্দোলনে রয়েছে, অন্য সব রাজনৈতিক দলও তাদের যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন করছে। দাবি আদায়ে অবরোধের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। জনগণের দাবিকে পাশ কাটিয়ে যদি তফশিল ঘোষণা করা হয়, আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ পণ্ডের পর হরতালের পাশাপাশি চার দফা দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপিসহ সমমনা ও জামায়াতে ইসলামী। পঞ্চম দফায় আবারও কাল বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। নেতারা জানান, বিরোধী দলগুলো তফশিলের আগেই সংকটের সমাধান চায়। যেটা সমঝোতা বা আলোচনার মাধ্যমেও হতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সরকারকে আগে এগিয়ে আসতে হবে। তা না করে তফশিল ঘোষণা করে একতরফা নির্বাচনের দিকে গেলে তা প্রতিহত করা হবে। সেক্ষেত্রে যার যার জায়গা থেকে কঠোর আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। সে প্রস্তুতিই নেওয়া হচ্ছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীর কাছে নয়। তারা নিজেরাই কয়েকদিন আগে বলেছেন, দেশে নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ নেই। তাই নির্বাচন কমিশন যদি গণদাবি উপেক্ষা করে তফশিল ঘোষণার মতো হঠকারিতায় যান; সেটা হবে জাতির আকাক্সক্ষার সঙ্গে বেইমানি করা। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান থাকবে, তফশিল ঘোষণা স্থগিত রেখে সরকারের ওপর নৈতিক চাপ বৃদ্ধি করে নির্বাচনকেন্দ্রিক সংকট উত্তরণে সরকারকে বাধ্য করুন। নইলে আরও কঠোর কর্মসূচির মধ্য দিয়েই দাবি আদায়ে বাধ্য করবে জনগণ।

এদিকে বিএনপি ও সমমনাদের বাইরেও বাম ও কয়েকটি ইসলামী দলও তফশিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতির অবসানের লক্ষ্যে অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য সংলাপ শুরুর আহ্বান জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। নেতারা বলেছেন, গণদাবি উপেক্ষা করে সরকার নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একতরফা প্রহসনমূলক নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোট সারা দেশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করবে। তফশিল ঘোষণার পরদিন থেকে কঠোর কর্মসূচি শুরু হবে।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শরিক দল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, নির্বাচনের নামে সরকারের কোনো প্রহসনে পা দেবে না কমিউনিস্ট পার্টি বা বামপন্থিরা। সবার সঙ্গে আলোচনা ছাড়া যদি একতরফা তফশিল ঘোষণা করে সঙ্গে সঙ্গে সারা দেশে আমরা বিক্ষোভ সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছি। এরপর প্রয়োজনে হরতাল-অবরোধ দেব। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি হতে পারে। আন্দোলনের কর্মসূচি লাগাতার থাকবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে বামপন্থিদের আদর্শগতভাবে কোনো মিল নেই। তাই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের প্রশ্নই ওঠে না। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জাসদ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম জোটের সঙ্গেও আমাদের যুগপৎ ধারায় কর্মসূচি চলছে। এর বাইরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠন ও প্রগতিশীল ব্যক্তির ওপরও জোর দিচ্ছি। তাদেরও সঙ্গে নিতে চাই।

অন্যদিকে রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, নির্বাচন কমিশন একতরফা তফশিল ঘোষণা করতে চাইলে তফশিল ঘোষণার দিন ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে গণমিছিল করা হবে। তফশিল ঘোষণার পরের দিন সারা দেশে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল হবে।

বিরোধী দলগুলোর চলমান কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়ে রেজাউল করীম বলেন, ‘জাতীয় সংকট নিরসনে সব রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে ২০ নভেম্বর ঢাকায় সংলাপ করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।’

জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন ইস্যুতে বিরোধী দলগুলো আন্দোলন করছে। দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। বিরোধী দলের অনেক শীর্ষ নেতাসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় তফশিল ঘোষণা করলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD