রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩০ অপরাহ্ন




ড. ইউনূসের ‘জবরদখলে’র অভিযোগ নিয়ে যা বললো গ্রামীণ ব্যাংক

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ৮:১১ pm
grameen_bank grameen bank গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থা এবং সামাজিক উন্নয়ন ব্যাংক। এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস। Grameen Bank is a microfinance organization and community development bank founded in Bangladesh. It makes small loans to the impoverished without requiring collateral.
file pic

প্রাতিষ্ঠানিক আইন অনুযায়ী ড. ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংকসহ বাকি সাত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নন বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান এ কে এম সাইফুল মজিদ।

তিনি বলেন, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রামীণ শক্তি নামক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভার অনুমোদনে ও গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় তৈরি হয়েছে। আইন অনুযায়ী এই সাতটি প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ যাদের হাতে এ আইন তৈরি হয়েছে, তারা এ আইনি প্রক্রিয়াকে জবরদখল বলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছেন।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন এ কে এম সাইফুল মজিদ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণ টেলিকমের অ্যাডভাইজার জি এম জুবায়ের, লিগ্যাল অ্যাডভাইজার মাসুদ আক্তার, গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক জাকারিয়া রহমান প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে ১ কোটি ৫ লাখ দরিদ্র ভূমিহীন ঋণ গ্রহীতা গ্রামীণ ব্যাংক তথা গ্রামীণ পরিবারের সদস্য। তাদের উন্নয়নই গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে যেকোনো ধরনের সমালোচনা দুঃখজনক। এর অবসানের লক্ষ্যে আমরা প্রথমবারের মতো একটি কম্প্রিহেনসিভ অডিট করেছি। অডিটের যে ফলাফল এসেছে, তাতে এটা পরিষ্কার– এই ১ কোটি ৫ লাখ সদস্যের অর্থ ও অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব।

‘গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ মৎস্য ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ উদ্যোগ, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রামীণ শক্তি নামক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভার অনুমোদনে ও গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় তৈরি হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ঋণ গ্রহীতা সদস্যদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেদিন গ্রামীণ ব্যাংকের ১৫৫তম বোর্ড সভায় আইন অনুযায়ী সাতটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্ট সংখ্যক পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, কিন্তু যাদের হাতে এ আইন তৈরি হয়েছে, তারা এ আইনি প্রক্রিয়াকে জবরদখল বলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইছেন। আমাদের লক্ষ্য ছিল, গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রেখে আন্তরিকভাবে বিষয়গুলো সমাধান করা। গ্রামীণের দরিদ্র সদস্যদের প্রাপ্য ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমরা আন্তরিক।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দাবি করেন, কোনো ধরনের এখতিয়ার বা সম্পর্ক না থাকলেও গ্রামীণ ব্যাংকের লোকজন গ্রামীণ টেলিকম ভবনে আটটি প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়ে জবরদখল করছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের তার নিজস্ব সংঘবিধি আছে। আইনকানুন আছে। সেসব তো পালিয়ে যায়নি। আইন সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে যদি কারো কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে আইন-আদালত আছে। সেখানে পরিষ্কার হবে। কিন্তু জবরদখল কেন? এখানে যদি জালিয়াতির বিষয় থাকে তাহলে নিষ্পত্তির সুযোগ আছে আদালতে।

ড. ইউনূস বলেন, কেউ যদি আমার ঘরে তালা দিয়ে যায়, সেটা তো ঠিক নয়। আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে অনেক মামলা হয়েছে। আরেকটা না হয় হতো, অসুবিধে কী? এগুলো নিয়েই আছি সব সময়।

আপনার আয়ের উৎস কী? কীভাবে এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন? এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ব্যবসার মাধ্যমে অর্জন করে করেছি। এটা গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় করিনি। একটা টাকাও গ্রামীণ ব্যাংকের নেই।

গ্রামীণ ব্যাংকের কোনো টাকা এসব প্রতিষ্ঠানে নেই দাবি করে ড. ইউনূস বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই, তাদের একটি টাকাও এখানে নেই। গ্রামীণ ব্যাংকের যেসব দাবি-দাওয়া সেগুলো এখানে নেই। আমাদের আইনবিধি পরিষ্কার। আইন মেনে বুঝে সবকিছু করা হয়েছে। এমন একটা জটিল পরিস্থিতিতে আমাদের কাজ করতে হয়, আইন ভঙ্গ করলে আমাদের বিপদের চাইতে মহাবিপদের মধ্যে পড়তে হয়। সেজন্য আমরা সবকিছু আইন মেনেই করেছি। এখন যদি তাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য থেকে থাকে, সেটা তাদের ব্যাপার।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD