রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন




নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু বিজ্ঞানকে বিবেচনায় নেয়া জরুরি

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ৭:৫৭ pm
Construction of park in Sherbangla Nagar শেরেবাংলা নগরে পার্ক
file pic

দেশের নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে জলবায়ু ও জলবায়ু বিজ্ঞানকে বিবেচনায় নেয়া জরুরি বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদ এবং নাগরিক সমাজ। মঙ্গলবার সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিপিআরডি) আয়োজিত ‘ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট আরবান ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ: পলিসি গ্যাপস অ্যান্ড রিকমেন্ডেশনস’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তারা।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. সামছুদ্দোহার সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি ও অ্যাডভোকেসি পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখ, ডরপের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার। সেমিনারে সিপিআরডির রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি অফিসার নাজনীন সুলতানা এবং রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলমী তাবাসসুম গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন। কনফারেন্সে সিপিআরডির প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সিপিআরডির উপস্থাপিত নিবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং জলবায়ু-সহনশীল নগরায়নে সরকার, নীতি নির্ধারক এবং নাগরিক সমাজকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। নিবন্ধে রেজিলিয়েন্স ইনডেক্স, ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স মেজারমেন্টের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভাগুলোর বাজেটের সীমাবদ্ধতা প্রশমিত করা, দরিদ্রবান্ধব ও জলবায়ু পরিবর্তন ক্ষতিগ্রস্ত সহায়ক নগরায়ন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সমূহের মধ্যে সমন্বয় এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা প্রক্রিয়াগুলোতে অংশীজনের অর্থবহ অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে মো. শামসুদ্দোহা বলেন, প্রতিটি নীতিমালায় জলবায়ু পরিবর্তনের দিক বিবেচনা করে বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন বাংলাদেশে নগরায়ণ বিদ্যমান শহর অঞ্চলগুলোকে কেন্দ্র করেই ঘটে, তাই শহর অঞ্চলগুলো অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে বিপর্যস্ত, যার ফলস্বরূপ শহরের বাসীন্ধাদের নিম্নমানের জীবনযাপন করতে হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ জলবায়ু অভিবাসীদের বসবাসের জন্য শহরগুলোকে জলবায়ু সহিষ্ণু হিসেবে তৈরি করার উপর গুরুত্ব দেন। নগরায়ন যাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক, জলবায়ু সহনশীল হয়ে ওঠে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব প্রশমনে অবদান রাখতে পারে সেভাবে তৈরি করতে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে নীতি সহযোগিতা এবং প্রয়োজনীয় চাপ প্রদান করার উপর গুরুত্ব দেন।

ডরপ-এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান উল্লেখ করেছেন জলবায়ু পরিবর্তন সহীষ্ণ নগরায়নে আমাদের প্রচুর নীতিমালা এবং নির্দেশিকা রয়েছে, এখন জরুরি হচ্ছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। তিনি নীতি প্রণয়নে জনগণের সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করার উপর জোর দেন।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার প্রধান শহরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতার আলোকে মেগা প্রকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়ন করার পরামর্শ দেন। তিনি বিদ্যমান নীতিগুলোর মধ্যে আন্তঃসংযোগের একটি উল্লেখযোগ্য ঘাটতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি শাখার পরিচালক পার্থ হেফাজ শেখ, নীতি ও অ্যাডভোকেসি প্রচেষ্টায় জনসম্পৃক্ততার অভাবকে তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমাদের দেশে ঢাকা শহরকে যে পরিমাণ গুরুত্ব দেয়া হয়, সে তুলনায় অন্যান্য শহরগুলোকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়া হয় না বলেই লক্ষ্য করা গেছে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD