বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন




১১০ টাকার খেজুরে শুল্ক ১৪০ টাকা!

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ৫:৪৬ pm
Dates date palm flowering plant trees sweetest fruits Khejur Khajoor খেজুর গাছ খেজুর রস খেজুরের খেজুর গাছ খেজুর রস date tree খেজুর Dates date palm flowering plant trees sweetest fruits Khejur Khajoor খেজুর গাছ খেজুর রস খেজুরের খেজুর গাছ খেজুর রস date tree খেজুর খেজুর
file pic

সবার সহযোগিতা না পেলে বাজারে খেজুরের দাম কমানো যাবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন,‌ খেজুর আমদানি করতে প্রকৃত দামের প্রায় দ্বিগুণ শুল্ক দিতে হয়। এনবিআর খেজুরকে বিলাসী পণ্য ধরে শুল্ক নির্ধারণ করে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ডরুমে আয়োজন করা হয় রমজান উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর উৎপাদন, আমদানি, মজুত, সরবরাহ ও সামগ্রিক দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা। সেখানে নিজের বক্তব্যে খেজুরের অতিরিক্ত শুল্ক নিয়ে কথা বলেন সিরাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ১১০ টাকা কেজি দরে আমদানি করা খেজুরে শুল্ক দিতে হয় ১৪০ টাকা। পরে বাজারে বিক্রি করতে হয় ২৫০ টাকায়। একইভাবে ১২০ টাকা কেজির খেজুরে ২১০ টাকা শুল্ক দিয়ে বাজারে ৩৩০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। এজন্যই বাজারে খেজুরের দাম এত বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই শুল্ক যুক্ত করা হয়েছে। অথচ গত বছর এক কেজি খেজুরে মাত্র ১০ টাকা শুল্ক দিয়েছি।

তিনি বলেন, ইফতারের সময় মুসলমানরা অন্তত দুই-তিন টুকরো খেজুর খেয়ে থাকেন। গত ৩৫ বছর ধরে আমি খেজুর আমদানি করি, কিন্তু কখনো শুল্ক দিতে হয়নি। আমি খেজুর আমদানি করলাম ৯০০ থেকে ১০০০ ডলারে। চট্টগ্রামের কাস্টম কমিশনার সাধারণ কনটেইনার খেজুরের জন্য ২৫০০ ডলার এবং হিমায়িত কনেটেইনারে খেজুরের জন্য ৪০০০ ডলার শুল্ক নির্ধারণ করেছে। এতে খেজুরের দাম দুই থেকে তিনগুণ বেড়ে গেছে। আমরা এনবিআর-এ কথা বলেছি, তারা কোনো যুক্তি দেখাতে পারল না কেন এটার শুল্ক ২৫০০/৪০০০ করল। এই অ্যাসেসমেন্টে এক কার্টন খেজুর আমাকে বিক্রি করতে হবে সাড়ে ৪০০০ টাকায়, কেজি পড়বে ৪৫০ টাকা। আসলে আমরা সবাই যদি সহযোগিতা না করি, তাহলে বাজারে খেজুরের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম রাখতে পারব না।

সভায় দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রমজান মাস ইবাদতের মাস। আপনারা সারা বছর ব্যবসা করেন, রমজান মাসেও ব্যবসা করবেন। পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে ফেস্টিভ্যালে ছাড় দেওয়া হয়। আমাদের দেশেও তেমন হতে হবে। আপনারা রমজান মাসে ‘ন্যায্য লাভ’ করবেন।

অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কথা বলবে না জানিয়ে সভাপতি বলেন, রমজানে বাজার মনিটরিং পুলিশ দিয়ে করানো হোক তা চাই না। বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনিটরিং করলেই হয়। আপনারা এটা না করলে সরকারিভাবে হয়রানির শিকার হতে হবে। এটা আমরা চাই না। অসৎ ব্যবসায়ীর পক্ষে এফবিসিসিআই কোনো কথা বলবে না।

তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পথে চাঁদাবাজির শিকার হলে আমাদের জানাবেন। আমরা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সরাসরি আলাপ করব।

মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD