ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘একটা ঘটনা ঘটার পরে আমরা শোক করি, জ্ঞান দেই। কিন্তু দায়িত্বরত সকল সংস্থা নিজেদের কাজ ঠিকমতো করলে অগ্নিকাণ্ডে বেইলি রোডসহ অতীতে যে সব প্রাণহানি ঘটেছে সেগুলো দেখতে হতো না। তাই এবার ডিএমপির থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় নজর রাখছে যাতে যথাযথ অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা ঘটলে বের হওয়ার পথ রয়েছে কিনা।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার হারুন বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের ঘটনায় আমাদের একজন পুলিশ কর্মকর্তার মেয়ে নিহত হয়েছে। সে বুয়েটের শিক্ষার্থী ছিল। এই এক আগুনে কত মায়ের কোল খালি হয়েছে। তাই এখন আমরা প্রতিটি রেস্তোরাঁয় খোঁজ খবর নিচ্ছি। ঢাকা শহরে এমন কোনো রেস্তোরাঁ আছে কিনা যেগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা মানা হচ্ছে না, দ্রুত বের হওয়ার রাস্তা আছে কি না। কোনো অনিয়ম পেলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।
কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর বিষয়ে ডিবি প্রধান বলেন, সেখানে ২০ জন মানুষ বসার সুযোগ নেই অথচ সেখানে ৫০ জনকে খাওয়ানো হচ্ছে। এখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ কিভাবে বের হবে। সিঁড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। আর কক্ষগুলো এমন ভাবে সাজিয়েছে যে বাতাস যাওয়ার সুযোগ ছিল না। বাতাস চলাচলের রাস্তা থাকলে এতো প্রাণহানি হয়তো হতো না। এমন কি দুর্ঘটনা ঘটলে ছাদে গিয়ে মানুষ বাঁচবে সেখানেও যাওয়ার রাস্তা ছিল।