রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন




সালাতুল ইসতিসকা/বৃষ্টি নামাজ

ইসতিসকার নামাজ আদায়ের নিয়ম

আউটলুকবাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ২:১১ pm
ইস্তিসকার নামাজ ইতিকাফ রমজান রোজা sobe borat Shab e Barat namaz রজনী নিসফে শাবান‎ লাইলাতুল বরাত শা'বান মাস ইবাদত বন্দেগি শবে বরাত প্রার্থনা মুসলিম উম্মা মহিমান্বিত রাত শবে বরাত নফল ইবাদত কোরআন তেলাওয়াত জিকির-আসকার জিকির আসকার মোনাজাত ফজিলত ধর্মপ্রাণ মুসলমান শবে মেরাজ শবেমেরাজ ইসলাম islam eid e miladunnanabi Eid Milad un Nabi Rabi al awwal রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী Rabi al-Awwal eid মুহাম্মদ সা রবিউল আউয়াল ঈদ Baitul Mokarram bicycle salat বাইসাইকেল নামাজ সালাত salat বাইসাইকেল নামাজ সালাত rain Weather আবহাওয়া Rain বৃষ্টি Rain বৃষ্টি
file pic

ইসতিসকা শব্দের অর্থ পানি বা বৃষ্টি প্রার্থনা করা। সালাতুল ইসতিসকা অর্থ বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ। শারিয়তের পরিভাষায় অনাবৃষ্টির সময় আল্লাহর রাসুলের সুন্নত অনুসরণ করে খোলা প্রান্তরে নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে বৃষ্টি প্রার্থনা করাকে সালাতুল ইসতিসকা বা ইসতিসকার নামাজ বলা হয়।

নবিজি (সা.) ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন বলে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনু যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একবার বৃষ্টির জন্য সবাইকে নিয়ে ঈদগাহে গেলেন এবং দুরাকাত নামাজ আদায় করলেন। উভয় রাকাতে উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়লেন। এরপর তিনি কেবলামুখী হয়ে দুহাত উঠিয়ে দোয়া করলেন। কেবলামুখী হওয়ার সময় তিনি তার চাদর ঘুরিয়ে দিলেন। (সহিহ বুখারি: ১০২৫, সহিহ মুসলিম: ৮৯৪)

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে ইসতিসকার নামাজ আদায়, খুতবা ও দোয়া করার ঘটনা বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। আয়েশা (রা.) বলেন, একবার লোকেরা আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাছে উপস্থিত হয়ে অনাবৃষ্টির কারণে তাদের কষ্টের কথা বললো। তখন তিনি ময়দানে মিম্বর স্থাপনের নির্দেশ দিলেন এবং দিন ক্ষণ ঠিক করে নির্ধারিত সময় সবাইকে ময়দানে যেতে বললেন।

আয়েশা (রা.) বলেন, সেদিন সূর্য ওঠা আরম্ভ হতেই নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ময়দানে গিয়ে মিম্বরে আরোহণ করে মহান আল্লাহর বড়ত্ব ও পবিত্রতা বর্ণনা করে বলেন, তোমরা সময়মত বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে দুর্ভিক্ষের অভিযোগ করেছ। অথচ আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা দিয়েছেন, ‘যদি তোমরা তার কাছে দোয়া কর, তবে তিনি তা কবুল করবেন।’

তারপর তিনি বললেন,

الْحَمْدُ للهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ يَفْعَلُ مَا يُرِيدُ اللَّهُمَّ أَنْتَ اللهُ لَا إِلَهَ إِلَا أَنْتَ الْغَنِيُّ وَنَحْنُ الْفُقَرَاءُ أَنْزِلْ عَلَيْنَا الْغَيْثَ وَاجْعَلْ مَا أَنْزَلْتَ لَنَا قُوَّةً وَبَلَاغًا إِلَى حِينٍ

উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহি রব্ববিল আলামীন, আররহমানির রাহীম, মালিকি ইয়াওমিদ্দীন, লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ইয়াফআলু মা ইউরীদু আল্লাহুম্মা আনতা-লল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল-গানিয়্যু ওয়া নাহনুল ফুক্বারাউ, আনযিল আলায়নাল-গয়সা ওয়াজআল মা আনযালতা লানা ক্যুওয়াতান ওয়া বালাগান ইলা- হীন

অর্থ: সকল প্রশংসা আল্লাহর। তিনি সারা বিশ্বের পালনকর্তা, মেহেরবান ও ক্ষমাকারী। প্রতিদান দিবসের মালিক। আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন মাবুদ নেই। তিনি যা চান তা-ই করেন। হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। তুমি অমুখাপেক্ষী আর আমরা কাঙ্গাল, তোমার মুখাপেক্ষী। আমাদের ওপর তুমি বৃষ্টি বর্ষণ করো। আর যা তুমি অবতীর্ণ করবে তা আমাদের শক্তির উপায় ও দীর্ঘকালের পাথেয় করো।

তারপর তিনি লোকদের দিকে পিঠ ফিরিয়ে নিজের চাদর উল্টে দেন এবং ওই সময় তার হাত ওপরের দিকে ছিল। অবশেষে তিনি লোকদের দিকে ফিরে মিম্বর থেকে অবতরনের পর দুরাকাত নামাজ আদায় করলেন।

এ সময় আল্লাহ তাআলার হুকুমে আকাশে মেঘের ঘনঘটা ও গর্জন শুরু হয়ে যায়। আল্লাহ্‌র হুকুমে এমন বৃষ্টিপাত হতে থাকে যে, নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মসজিদে নববিতে আসার ফিরে আসার আগেই পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। তিনি যখন বৃষ্টি থেকে আত্মরক্ষার জন্য সাহাবিদের ব্যাস্ত-সমস্ত হতে দেখেন, তখন এমনভাবে হেসে ফেলেন যে, তার সামনের পাটির দাঁত দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাআলা সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান এবং আমি আল্লাহর বান্দা ও রাসুল। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৭৩)




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD