সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন




অফিস সহকারী মমতাজ বেগম

গুনে গুনে টাকা নিচ্ছেন ভিডিও ভাইরাল

আউটলুকবাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ৫:৪০ pm
money laundering illegal process money generated criminal drug trafficking terrorist funding illegally concealing illicit drug trafficking corruption embezzlement gambling converting legitimate source crime jurisdictions আমদানি ওভার ইনভয়েসিং রপ্তানি আন্ডার-ইনভয়েসিং আমদানি-রপ্তানি অবৈধ জাল অর্থ পাচার জিএফআই মানি লন্ডারিং আর্থিক খাত গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউ হুন্ডি অর্থ পাচার Per capita income মাথাপিছু আয় Reserves Reserve রিজার্ভ remittance রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় ডলার dollar Pagla Mosque পাগলা মসজিদ কোটি টাকা Per capita income মাথাপিছু আয় Reserves Reserve রিজার্ভ remittance রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় ডলার dollar Pagla Mosque পাগলা মসজিদ কোটি টাকা
file pic

গুনে গুনে টাকা নিলেন তিনি। গোনা শেষ হলে টাকার পরিমাণ নিয়ে নিজের অসন্তোষের কথা জানালেন। বললেন, ‘এ টাকা নিলে আমাকে বকা দেবে।’ এরপর মুঠোফোনে এ নিয়ে কারও সঙ্গে আলাপ করেন তিনি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার, রফিক মেম্বারের ৮০ হাজার দেওয়ার কথা ছিল, ৪০ হাজার দিয়েছে। স্যার, এক মাস পর আবার বিল আছে, তখন কেটে রাখতে হবে।’

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মমতাজ বেগমের টাকা নেওয়ার এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পরে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, মমতাজ বেগম তাঁর অফিসের একটি কক্ষে গুনে গুনে টাকা নিচ্ছেন।

তবে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মমতাজ বেগম মুঠোফোনে বলেন, তিনি কারও কাছ থেকে টাকা নেননি এবং ভিডিওটি এডিট করে প্রচার করা হয়েছে।

মমতাজ দাবি করেন, ‘ভিডিওতে আমি টাকা নিচ্ছি, এমন দেখা যাচ্ছে না। তবে গুনছি, সেটা দেখা যাচ্ছে। আমার স্বামী বিদেশ থাকে। তিনি বিকাশে টাকা পাঠিয়েছেন, সেই টাকা গুনতেছিলাম।’

এলাকার একটি এতিমখানার বরাদ্দ করা অনুদানের টাকা তুলতে গিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মমতাজ বেগমকে টাকা দিতে হয়েছে বলে জানান ওই এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম। ভিডিওটি ৮ এপ্রিল ধারণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

৬ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, সমাজসেবা কার্যালয়ের অফিস সহকারী মমতাজ বেগমের ডেস্কের সামনে হারবাং ইউনিয়নের মধ্যম পহরচাঁদা এতিমখানার সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও আরেকজন লোক বসে আছেন। এমন সময় আরেকজন মধ্যবয়স্ক নারী তাঁর কক্ষে ঢোকেন। একপর্যায়ে মমতাজ বেগম তাঁর চেয়ার থেকে উঠে ইশারায় রফিকুল ইসলামকে পাশের কক্ষে ডেকে নেন। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা হয়। এ সময় মমতাজ বেগমকে রফিকুল তাঁর পকেট থেকে বের করে এক হাজার টাকার নোটের একটি বান্ডিল দেন। তখন মমতাজ বেগম জানতে চান, এখানে কত দিয়েছেন? তখন ওই ব্যক্তি গুনে নিতে বললে, মমতাজ টাকাগুলো গুনতে থাকেন।

ওই সময় রফিকুল বলেন, ‘আমি টাকা তুলতে পারিনি। অনেক কষ্ট করে টাকা এনেছি। প্রথম কিস্তির বরাদ্দ বাবদ ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা তুলতে পারিনি।’ তখন মমতাজ বেগম রফিকুলকে বলেন, ‘আপনি ঠকে যাবেন। আপনার প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।’ রফিকুল অনুরোধ করে বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকলে টাকা পাবেন।’

টাকা গোনা শেষে মমতাজ বেগম কেউ একজনকে ফোন করে বলেন, ‘স্যার, রফিক মেম্বার ৮০ হাজার দেওয়ার কথা ছিল, ৪০ হাজার দিয়েছে। স্যার, এক মাস পর আবার বিল আছে, তখন কেটে রাখতে হবে।’

রফিকুল চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্যও। তিনি বলেন, ‘এতিমখানার বরাদ্দের টাকা তুলতে গিয়ে অফিস সহকারী মমতাজ বেগমের সঙ্গে আমার কয়েক দফা বৈঠক হয়। ২০২৩-২৪ সালের প্রথম কিস্তির ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা থেকে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করা হয়। অন্যথায় এতিমখানার টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেবে। পরে ৮ এপ্রিল সমাজসেবা অফিসে গিয়ে দুপুর ১২টার দিকে অফিস সহকারী মমতাজ বেগমকে ৪০ হাজার দিই।’

ঘটনার বিষয়ে জানতে গতকাল শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চকরিয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের মুঠোফোনে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি। তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রথম আলো




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD