মার্চ পর্যন্ত টানা চার মাস পণ্য রপ্তানি থেকে আয়ের পরিমাণ ছিল ৫০০ কোটি ডলারের বেশি। এর মধ্যে জানুয়ারিতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫৭২ কোটি ডলার। সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে এসে সে ধারা ক্ষুন্ন হল। মাসটিতে রপ্তানির পরিমাণ ৩৯২ কোটি ডলরেরও কম, যা আগের মাস মার্চে ছিল ৫১০ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে রপ্তানি কমলো ১১৮ কোটি ডলার।
মার্চের এই রপ্তানি গত বছরের একই মাসের চেয়েও ৪ কোটি ডলার কম। ওই মাসে রপ্তানির পরিমাণ ৩৯৬ কোটি ডলার। হঠাৎ রপ্তানি আয়ে এত বড় পতনের কারণ মূলত ঈদের ছুটি। গত ১১ এপ্রিল ঈদ উদযাপিত হয়।
ঈদ উপলক্ষ্যে আগে পরে মিলে গড়ে এক সম্পাহ কারখানা বন্ধ ছিল। এতে মাসের এক চতুর্থাংশ উৎপাদন ও রপ্তানি কম হয়। গত তিন মাস ধরে গড়ে ৫০০ কোটি ডলার করে রপ্তানি হচ্ছে। সে হিসেবে এক চতুর্থাংশ রপ্তানির পরিমাণ ১২৫ কোটি ডলারের মত।
জানতে চাইলে পোশাক খাতের বড় প্রতিষ্ঠান হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম শামসুদ্দিন বলেন, রপ্তানি কমে যাবার কারণ হিসেবে ঈদের ছুটিই মুখ্য বলা যায়। তবে আরও একটি বড় কারণ হচ্ছে, এপ্রিলজুড়ে তাপপ্রবাহ। রেকর্ড উচ্চহারের তাপমাত্রার কারণে অনেক শ্রমিক কারখানায় অনপুস্থিত ছিলেন। আবার যারা কারখানায় এসেছেন, তারাও শারিরীক এবং মানসিকভাবে দুর্বল ছিল। এ কারণে স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হয়। স্বাভাবিক তাপমাত্রা ফিরে না এলে চলতি মে মাস শেষেও রপ্তানি কিছুটা কম হতে পারে।