মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং
বাংলাদেশে গত জুলাই-আগস্টে ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালে শত শত মানুষকে গুলি করে হত্যার ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ডেভিড মিলার এক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, ছাত্র আন্দোলনে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু ও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই আমরা।
ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নোবেল বিজয়ী ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভের বার্ষিক সভায় বলেছিলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তন সুচিন্তিত পরিকল্পনার ফল হিসেবে সংঘটিত হয়েছে, হঠাৎ করে নয়। মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশে শত শত মানুষ হত্যার জন্য মার্কিন সরকার কাকে দায়ী করবে?
জবাবে মিলার বলেন, আমরা মনে করি, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে দমনপীড়নের সময় যেসব বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে পূর্ণ তদন্ত হওয়া দরকার এবং দায়ী যে কারও জন্য পূর্ণ জবাবদিহিতা থাকা দরকার।
এরপর ওই সাংবাদিক জানতে চান, ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে হতাহতের খবরও পাওয়া গেছে। বিদেশি সম্পর্কবিষয়ক মার্কিন স্টেট কমিটির চেয়ারম্যান রবার্ট মেনেনডেজ রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির প্রথমবার্ষিকীতে বলেছিলেন, পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশি শ্রমিকদের রক্তে রঞ্জিত পোশাক কিনবে না। যুক্তরাষ্ট্র শ্রম অধিকার ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষে, এই বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো মন্তব্য আছে?’ জবাবে এ বিষয়ে জেনেশুনে উত্তর দেওয়ার কথা জানান ডেভিড মিলার।
ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন– বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে হেফাজতে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রের স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব বিবেচনায় এই পরিস্থিতি নিয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো মন্তব্য আছে কিনা? জবাবে মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশে এবং অবশ্যই সারাবিশ্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সমুন্নত দেখতে চাই।