কাঠমান্ডুতে প্রতিনিধিদল
ছয় বছরের দেনদরবার শেষে আগামী বৃহস্পতিবার নেপালের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এদিন নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটি (এনইএ), ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভায়পার নিগম লিমিটেড (এনভিভিএন) এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
এজন্য বিদ্যুৎ সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের উচ্চপর্যায়ের বাংলাদেশি প্রতিনিধিদল এখন কাঠমান্ডুতে অবস্থান করছে। চুক্তির আগের দিন আগামীকাল বুধবার প্রতিনিধিদল নেপালের সঙ্গে ষষ্ঠ জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) এবং জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটির (জেএসসি) বৈঠক করবে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে, নেপালের গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, নেপাল সরকার বছরের পাঁচ মাস (১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর) বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করবে। এই পাঁচ মাসে নেপাল বিদ্যুৎ রপ্তানি করে ৯ দশমিক ২১৬ মিলিয়ন ডলার আয় করবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান এ প্রসঙ্গে গত রোববার বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার বহুল প্রতীক্ষিত নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনার চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এর আগে আমরা নেপালের সঙ্গে দুটি বৈঠকে অংশ নেব। বৈঠকে নেপাল থেকে আরও বেশি বিদ্যুৎ আমদানি ও নেপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশি বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা হবে।
গত ২৮ জুলাই কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ছিল। কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে সে সময় দেশে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক ছিল। তাই তৎকালীন সরকারের পক্ষ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় অপারগতা জানালে কার্যক্রম স্থগিত করে ভারত ও নেপাল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে জ্বালানি, বাণিজ্য ও দুই দেশের জনগণের যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা।
গত ১১ জুন ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ভারতের জাতীয় গ্রিড ব্যবহার করে নেপাল থেকে পাঁচ বছরের জন্য ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি অনুমোদন দেয়। কালবেলা