বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন




সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স ২৪০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪ ১০:৩২ pm
Dollar রিজার্ভ Reserves Reserve রিজার্ভ remittance রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় ডলার dollar
file pic

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়েছিলো। একই ধারাবাহিকতায় সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসেও প্রবাসী আয় ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, আগের মাস আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিলো ২২২ কোটি ৪১ লাখ ডলার। অর্থাৎ সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বরে এর আগের মাসের তুলনায় ১৮ কোটি ডলার বেশি এসেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে জুনে, যা পরিমাণে ২৫৪ কোটি ডলার। এটি একক মাস হিসেবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রবাসী আয় আসার রেকর্ড। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে এসেছিল ২৫৯ কোটি ডলার। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ডলার এসেছে সদ্য সমাপ্ত সেপ্টেম্বর মাসে।

দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। দায়িত্ব নিয়েই তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংক খাতের উন্নয়নে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।

পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা বা ডলার-সংকট কাটাতে আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যান্ড ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই বৈঠকে। তাতে ডলারের বিনিময় হার নির্ধারণের ক্রলিং পেগ ব্যবস্থায় ডলারের মধ্যবর্তী দাম দাঁড়ায় ১১৮ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকগুলো এখন ডলারের দাম কিছুটা বেশি দিতে পারছে।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকারি ও সাধারণ ছুটি মিলিয়ে ১৯ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। এ ছাড়া টানা ৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ১০ দিন মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। এ কারণে দেশের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক লেনদেন প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

গত জুলাই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিস্থিতিতে কিছু জটিলতার কারণে প্রবাসী আয় কমে যায়। এমনকি কোথাও কোথাও প্রবাসী আয় না পাঠানোর দাবিও ওঠে। শোনা যায়, তখন মধ্যপ্রাচ্যে থাকা বাংলাদেশিদের অনেকেই সোনা কেনায় মনোযোগ দেন। সোনার বার কিনে দেশে নিয়ে এলে একটু বেশি টাকা মিলবে এমন আশায় তাঁরা প্রবাসী আয় না পাঠিয়ে সোনার বার কেনেন। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় বিদেশে আসা-যাওয়ার বিমান টিকিটও বিনা মূল্যে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে জন্য সোনার বার কেনা বাড়লে বৈধ পথে প্রবাসী আয় কমে যায়। তবে সরকার পরিবর্তন ও ডলারের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের ফলে প্রবাসী আয় ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ১৯০ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা ছিল গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এছাড়া চলতি বছরের জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ৬৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। জুন মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ, নভেম্বর ১৯৩ কোটি, ডিসেম্বরে ১৯৯ কোটি ১২ লাখ, জানুয়ারিতে ২১১ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়া‌রি‌তে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ, মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ, এপ্রিলে এসেছে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ, মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ এবং জুন মাসে এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD