হিজবুল্লাহর সঙ্গে তীব্র সংঘাতের মধ্যে রোববার ইসরাইলের উত্তর সীমান্ত সফর করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ‘সমঝোতা মীমাংসা বা সামরিক বাহিনীর বলপ্রয়োগের’ মাধ্যমে, ইসরাইল এই অঞ্চলে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে।
রোববার (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
শীর্ষ সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে সফরের সময় নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা লেবাননের সঙ্গে চুক্তি বাস্তবায়ন কিংবা ছাড়াই উত্তরাঞ্চলে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার এবং বাস্তচ্যুত বাসিন্দাদের তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনবো’।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে কোনো কার্যকলাপ ঠেকাতে হিজবুল্লাহকে লিতানি নদীর উত্তরে ঠেলে দেওয়া, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পুনরায় সশস্ত্র হওয়া এবং প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত রাখবো’।
লিতানি নদী ইসরাইলের সীমান্ত থেকে লেবাননের অভ্যন্তরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার। এই সীমা পর্যন্ত ইসরাইল হিজবুল্লাহর উপস্থিতি নির্মূল করতে চায়।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘সহজ কথায়: বলপ্রয়োগ, বলপ্রয়োগ, বলপ্রয়োগ’। মূলত এরমাধ্যম হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলা করাকেই শান্তি ফেরানোর পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।
নেতানিয়াহু বলেন, সিরিয়ার মধ্য দিয়ে ইরান থেকে হিজবুল্লাহর ‘অক্সিজেন’ অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
জানা গেছে, নেতানিয়াহুর সঙ্গে এসময় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর নর্দার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ওরি গর্ডিন এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের মধ্যে অভিযান মূল্যায়নের পাশাপাশি স্থল আক্রমণাত্মক এবং প্রতিরক্ষামূলক পরিকল্পনার বিভিন্ন খোঁজখবর নেন তিনি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিন এবং হামাসের সমর্থনে লেবানন থেকে ইসরাইলে ড্রোন এবং রকেট হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে এই সংঘাত আরো তীব্র হয়েছে। হিজবুল্লাহর হামলার ভয়ে ইসরাইল তাদের উত্তর সীমান্ত থেকে কমপক্ষে ৬০ হাজার বাসিন্দা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। উত্তরাঞ্চলে নেতানিয়াহুর সফর বাস্ত্যচুত সে সব ইসরাইলি নাগরিকদের মনে আশার সঞ্চার তৈরি করতে পারে।
(যুগান্তর)