বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন থামাতে নির্বিচারে গুলি করে ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে পুলিশ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লন্ডভন্ড হয়ে যায় পুলিশের ‘চেইন অব কমান্ড’। পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের অনেকে আত্মগোপনে চলে যায়। নিরাপত্তাহীনতায় থাকে পুরো দেশের মানুষ।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পুলিশের শীর্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। নতুন করে ঢেলে সাজানো হয় পুলিশকে। সরকার পতনের তিন মাসের মাথায় এসে এখনো পুরো উদ্যম ফিরে পায়নি পুলিশ বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি। প্রায় প্রকাশ্যে ছিনতাই, ডাকাতি ও হত্যার ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। যদিও অভ্যন্তরীণ দাবি-দাওয়া ও পদোন্নতি-পদায়ন নিয়ে পুলিশের ভেতরে এখনো অস্থিরতা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, ঘুরে দাঁড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। উদ্ধার করা হচ্ছে পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র। রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান। জোরদার করা হয়েছে পুলিশ প্যাট্রোল। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম স্বাভাবিক করার পাশপাশি যানজট নিরসনের প্রচেষ্টা চলছে। গঠন করা হয়েছে সিভিলিয়ান প্ল্যাটফর্ম। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জঙ্গি-সন্ত্রাসীর ওপর। ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে। হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে আওয়ামী লীগ আমলের অনেক হাই প্রোফাইল নেতা, আমলা, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের। পুলিশের সব ইউনিটকে ইতোমধ্যেই অপারেশনাল করা হয়েছে। পুলিশের সংস্কারের জন্য সরকার গঠিত সফররাজ হোসেনের নেতৃত্বাধীন একটি কমিশন কাজ করছে। এছাড়া পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের উচ্চ পর্যায় থেকে।
আরও জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনকে ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পুলিশের পাঁচ হাজার ৭৪৯টি অস্ত্র লুট হয়েছিল। গত ২ নভেম্বর পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে চার হাজার ৩১৩টি অস্ত্র। এখনো এক হাজার ৪৩৬টি অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। পুলিশের গোলাবারুদ লুণ্ঠিত হয়েছিল ছয় লাখ ৫১ হাজার ৬০৯ রাউন্ড। এগুলোর মধ্যে উদ্ধার হয়েছে তিন লাখ ৮৮ হাজার ১৮২ রাউন্ড। এখনো উদ্ধার হতে বাকি আছে দুই লাখ ৬৩ হাজার ৪২৭ রাউন্ড গোলাবারুদ। এছাড়া যৌথ অভিযানে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩৭৯টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৬৭টি। আর গ্রেফতার করা হয়েছে ২১৭ জনকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের আগস্ট মাসে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ১১৯টি হত্যা মামলা হয়েছে। এছাড়া সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ২০৬টি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে ৪১টি ও অক্টোবরে ২৭টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। বাকি হত্যাকাণ্ডগুলো জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ও অতীতের বিভিন্ন সময় সংঘটিত হয়েছে। এর আগের তিন মাসে (মে, জুন ও জুলাই) ৮৮টি হত্যা মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে মে মাসে ১৬টি, জুনে ১৩টি ও জুলাই মাসে ৫৯টি মামলা হয়েছে।
ডিএমপির তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর মাসে রাজধানীতে ২১টি ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। এর আগের মাস অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ১৪টি ছিনতাইয়ের মামলা হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২৯টি মামলা হয়েছিল। আর ওই বছরের অক্টোবরে ছিনতাইয়ের মামলা হয় ২৮টি। চলতি বছরের আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ডাকাতির মামলা হয়েছে ১৪টি। এর আগের তিন মাসে (মে, জুন ও জুলাই) ৮টি মামলা হয়। গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অপহরণের মামলা হয় যথাক্রমে ১১টি, ২২টি ও ১৫টি। অর্থাৎ গত তিন মাসে ৪৮টি অপহরণ মামলা রেকর্ড হয়। এর আগের তিন মাসে (মে, জুন ও জুলাই) এ ধরনের মামলা ছিল ১১টি। তবে গত আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে চুরির মামলা তুলনামূলক কম হয়েছে। এই তিন মাসে মোট ৯৬টি মামলা হয়। অপরদিকে আগের তিন মাসে (মে, জুন ও জুলাই) ১৭৭টি চুরির মামলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীতে দাপট দেখাচ্ছে ছিনতাইকারীরা। বিভিন্ন অলিগলিতে ওতপেতে থাকছে ছিনতাইকারীর দল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ছিনতাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বেশি বেশি অস্থিরতা দেখা গেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডি এলাকায়। রাতে গণছিনতাইয়ের পাশাপাশি দিনের আলোতেও ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পথচারীদের সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। চলন্ত গাড়ি ঠেকিয়ে অস্ত্রের মুখে লুটে নেওয়া হয়েছে সর্বস্ব। স্থানীয় মুদি দোকানে ঢুকেও টাকা লুটের ঘটনা ঘটছে। দিনে-রাতের এসব কর্মকাণ্ডে বসিলা, ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান, বসিলা গার্ডেন সিটি, ৪০ ফিট, নবোদয় হাউজিংসহ এক আতঙ্কের নগরীতে পরিণত হয় মোহাম্মদপুর এলাকা। এমন পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে স্থানীয়রা মোহাম্মদপুর থানা ঘেরাও করে। পরে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
টানা যৌথ অভিযানে মোহাম্মদপুরের পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও অন্যান্য এলাকার অপরাধীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। গত ১ নভেম্বর রাতে রাজধানীর কদমতলীর কুদার বাজার এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মো. রিয়ন মিয়া (১৬) নামের এক ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক আহত হন। গত শনিবার ভোরে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি ভবনের পঞ্চমতলার বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে মোবাইল চুরি করে নামার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে নুর হোসেন নুরা নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পুলিশ অক্টোবর মাসেই ৭৮ জন পেশাদার ছিনতাইকারী গ্রেফতার করেছে। গত ৩০ অক্টোবর রাতে লুটপাট করার উদ্দেশ্যে দলবেঁধে ধানমন্ডিতে জোর করে বাসায় প্রবেশের চেষ্টার ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম।
সূত্র জানায়, রাজধানীতে খুন, ছিনতাই, চুরি-ডাকাতিসহ যে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সাধারণত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। পরে ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের দ্রুত শনাক্ত করার চেষ্টা চলে। কিন্তু জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরাগুলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়ছেন পুলিশ সদস্যরা। তারা বলছেন, অপরাধ বেড়ে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পর্যাপ্ত ও কার্যকর সিসি ক্যামেরা না থাকা। এছাড়া দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং অভাব বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে বেপরোয়া ভাব বেড়ে গেছে। এ কারণেও অপরাধ বাড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা পলায়নের পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে থাকা স্বৈরাচার সরকারের দোসররা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করে। পতিত সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে নতুন সকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার চেষ্টা চালায়। সরকার ও পুলিশে উচ্চ পর্যায়ের কৌশলী ভূমিকায় ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হলেও এখনো মাঠ পর্যায়ে কিছু পুলিশ সদস্য সরকার এবং পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে অসদাচরণ করছেন। গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগও উঠছে কোনো কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে যেমন টাকা আদায় করা হচ্ছে, তেমনি এজাহার থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিনিময়েও তারা বাণিজ্য করছেন। সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে কারও কারও বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, পুলিশের সব সদস্যকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। যদি কোনো সদস্য অপেশাদার কাজ করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা অধিকতর কার্যকরের উদ্যোগ নিয়েছে ডিএমপি। এরই অংশ হিসাবে এয়ারপোর্ট রোডের কাকলী এলাকায় যে গ্যাপ আছে বন্ধ করা হয়েছে। নৌবাহিনী সদর দপ্তরের পাশের ইউলুপ এবং চেয়ারম্যান বাড়ির পাশের ইউলুপ সচল করা হয়েছে। এখানে কোনো ক্রসিং নেই। এই দুটি ইউলুপ ব্যবহার করে গুলশান-বনানী এলাকার মানুষ সহজেই যাতায়াত করছে। আগে এ এলাকায় ক্রসিং ছিল, যে কারণে যানজট হতো। এখন দিনের বেলা এখানকার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ভালো থাকে। তবে সন্ধ্যার দিকে একটু চাপ থাকে। আগে মানুষ ফুটওভারব্রিজ ইউজ করত না। এখন করছে। এ কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে গেছে।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক আহমেদ আরও বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে একটি গ্যাপ ছিল। ওই গ্যাপ দিয়ে টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের হতো। এ কারণে সেখানে তীব্র যানজট লেগে থাকত। এখন সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই টার্মিনাল থেকে গাড়ি বের হয়ে নাবিস্কোর সামনের ইউলুপ দিয়ে বের হচ্ছে। এখন আর মহাখালী টার্মিনালের সামনে ট্রাফিক জ্যাম হচ্ছে না। বিজয় সরণি থেকে লাভ রোডের দিকে এসে যেসব গাড়ি মেইন রোড হয়ে সাত রাস্তার দিকে যেত সেই রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই গাড়িগুলোকে তেজগাঁও ঘুরে মেইন রোডে উঠতে হচ্ছে। এ কারণে মেইন রোডে আগের মতো আর জ্যাম হচ্ছে না।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান বলেন, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে নিউমার্কেটের দিকে যে টার্ন ছিল সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মিরপুর থেকে আসা যানবাহন আগে আসাদগেট হয়ে সরাসরি মেইন রোড দিয়ে নিউমার্কেটের দিকে যেত। এ কারণে সেখানে জ্যাম বেশি হতো। এখন মিরপুর থেকে আসা যানবাহন আসাদগেট পার হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ঘুরে চলাচল করছে। এতে নিউমার্কেট থেকে মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে কোনো ক্রসিংয়ে পড়তে হচ্ছে না। আমাদের পরবর্তী পরিকল্পনা বিজয় সরণি এবং ফার্মগেট এলাকা। এই দুটি এলাকার যানজট নিরসনে একটি পরিকল্পনা করেছি। অল্পদিনের মধ্যেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব ইনশাআল্লাহ। বর্তমানে বিজয় সরণিতে চারটি সিগন্যাল পড়ে। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সিগন্যাল পড়বে তিনটি। এটি হলে মানুষের সময় বাঁচবে অনেক। পাশাপাশি ফার্মগেট ও বিজয় সরণিকেন্দ্রিক যানজট কমে যাবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজধনীর নষ্ট হওয়া সিসি ক্যামেরাগুলো এখনো চালু করতে পারিনি। পাইলট প্রকল্পের আওতায় ৫-৬টি মোড়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বুয়েট কাজ করছে।
(যুগান্তর)