মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন




৪৩ লাখ কার্ড বাতিল হয়নি, ব্যাখ্যা দিলেন টিসিবির মুখপাত্র

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪ ৫:৪৪ pm
Shopping Trading Corporation Of Bangladesh TCB ট্রেডিং কর্পোরেশন করপরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি
file pic

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ৪৩ লাখ পরিবার বা ফ্যামিলি কার্ড বাতিল করা সংক্রান্ত বক্তব্যের একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কার্ড বাতিলের বিষয়টি সঠিক নয়।

শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে কথা বলেন হুমায়ুন কবির। পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ৪৩ লাখ কার্ড বাতিলের খবর প্রকাশিত হয়।

বিষয়টি নিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, এক কোটি পরিবার কার্ডের মধ্যে ৫৭ লাখ কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করা হয়েছে। বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এখন তথ্য হালনাগাদ ও যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে যদি কোনো কার্ডে অনিয়ম ধরা পড়ে তাহলে, সেই কার্ড বাতিল করা হবে। তিনি বলেন, এখন এক কোটি কার্ডধারী সবাইকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে হুমায়ুন কবির বলেন, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড নিয়ে সংবাদমাধ্যমে অনিয়মের খবর আসছে। এক ব্যক্তি একাধিক জায়গায় এই কার্ড দিয়ে পণ্য নিচ্ছেন, এই হচ্ছে মূল অভিযোগ। পরিবার কার্ডের এসব সমস্যা দূর করার জন্য স্মার্ট কার্ড তৈরি করা হচ্ছে, যেন এক পরিবারে এক ব্যক্তির বেশি কেউ কার্ড না পান।

কার্ডগুলোকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তরে তথ্য হালনাগাদ করার জন্য টিসিবির পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনকে চারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, কার্ডধারীদের তথ্য পরিবর্তন, সংযোজন, বিয়োজন, পরিমার্জনসহ (যদি প্রয়োজন হয়) হালনাগাদ বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনে সাম্প্রতিক রদবদলের কারণে টিসিবির হাতে এসব তথ্য এখনো আসেনি। সে জন্য বাকি ৪৩ লাখ কার্ড স্মার্ট কার্ডে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে সময় লাগছে। এখন পুরোনো কার্ডেই পরিবারগুলোর কাছে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

টিসিবির ট্রাকের পণ্য অনেক মানুষ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও কিনতে পারছেন না বলে সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। কেন এমনটা হচ্ছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবির বলেন, নির্দিষ্টসংখ্যক পরিবারের জন্য বরাদ্দ থাকে। প্রতিটি স্থানে ৩৫০ জনের জন্য পণ্য বরাদ্দ থাকে। পরিবেশকদের বলা হয়েছে, ৩৫০টি টোকেন দেওয়ার জন্য। এর বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। যাঁরা টোকেন পাবেন না, তাঁদের সেদিনের জন্য চলে যেতে হবে। ফলে ৩৫০ জনের বেশি মানুষ থাকলে বাকিদের পরের দিন আসতে বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পবিত্র রমজান মাসে ফ্যামিলি কার্ডধারীদের দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার ভোজ্যতেল, এক কেজি চিনি ও এক কেজি ছোলা দেওয়া হবে। এ ছাড়া মহানগর এলাকায় এক কেজি খেজুর দেওয়া হবে। রোজার সময় পণ্য ট্রাকে বিক্রি হবে কি না, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, যেসব পরিবেশকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠবে, তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না, নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD