ছয় দফা দাবিতে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাওয়ের পাশাপাশি বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী মেডিক্যাল টেকনোলজি ও ফার্মাসি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে আলাদা পরিদফতর গঠন, দশম গ্রেড পদমর্যাদা প্রদান, স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সমন্বয়ক খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ২৯ অক্টোবর স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। কিন্তু তারা স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে সেটি দেয়নি। আমরা মনে করি, এটা আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে।’
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, ‘আমি অফিসিয়াল কাজে কুড়িগ্রামে এসেছি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা ফিরে যাচ্ছে না। আমি কাজ শেষ করে রংপুর ফিরব। তবে কখন ফিরব সেটা বলা যাচ্ছে না।’
তাহলে কি শিক্ষার্থীরা থাকবে- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি কাজ শেষ করেই ফিরব। কারণ তারা তো আমাকে বলে আসেনি। এদিকে বগুড়ায় ছয় দফা দাবি আদায়ে কাফনের কাপড় পরে সিভিল সার্জন কার্যালয় ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।
শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বেবী জানান, গত ১৪ বছর যাবৎ মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সঠিক অনুপাতে নিয়োগ না হওয়া। একই সঙ্গে তাদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যাপারেও উদাসীন ভূমিকা পালন করেছে বিগত সরকার।
আহম্মেদ মোশাররফ জানান, আমাদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত নিজস্ব পরিদপ্তর গঠন, ডিপ্লোমাধারীদের ১০ম এবং গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৯ম গ্রেডে নিয়োগ বিধিমালা তৈরি, ঢাকা আইএইচটিকে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি হিসেবে রূপান্তর করতে হবে।(যুগান্তর)