আগামী ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির। তবে পাকিস্তানের মাটিতে হতে যাওয়া এই আসর নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বে বেকায়দায় পড়েছে আইসিসি। এখনও টুর্নামেন্টের সূচিই চূড়ান্ত করতে পারেনি সংস্থাটি।
এই অবস্থায় আগামীতে ভারত-পাকিস্তানে কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা উচিত নয় আইসিসির; এমন মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ। তার মতে, যতক্ষণ পর্যন্ত দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ঝামেলা না মেটায়; ততক্ষণ এই দুই দেশে কোনো ধরণের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা উচিত নয় আইসিসির।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে ভারতের দাবি, পাকিস্তানে খেলতে যাবে না তারা। তাদের ম্যাচগুলো আয়োজন করতে হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। যা মানতে নারাজ পাকিস্তান। তাদের কথা, বাকি ৬ দলের পাকিস্তানে খেলতে সমস্যা না হলে ভারতের সমস্যা কোথায়। প্রয়োজনে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হবে তাদের।
তবে শেষ পর্যন্ত ভারত তাদের দাবিতে অটল। পাকিস্তানে খেলতে যাবে না বলে আইসিসিকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেশটির সমর্থক ও সাবেক ক্রিকেটারদের মাঝে। ভারত ক্রমাগতভাবে পাকিস্তানে খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনায় দেশটির সঙ্গে খেলা বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে রশিদ লতিফ।
সাবেক এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে খেলা বন্ধ করে দেওয়ার বড় সম্ভাবনা আছে। আমার যদি ক্ষমতা থাকত, আমিই এই পদক্ষেপ নিতাম। এ জন্য আমি কাউকে দোষারোপ করতাম না। তুমি যদি (পাকিস্তানে) খেলতে না চাও, তাহলে আমাদের সঙ্গে খেলোই না। আমি সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় থাকলে এটাই নিতাম। বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে লড়তাম।’
পাকিস্তানের হয়ে ৩৭ টেস্ট ও ১৬৬ ওয়ানডে খেলা লতিফ ভবিষ্যতের অচলাবস্থা কাটাতে আইসিসিকে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমার মতে, ভারত–পাকিস্তান দুই দেশের আয়োজন স্বত্ব স্থগিত করা উচিত। যত দিন না তাদের ঝামেলা মেটে, একটা সমাধান না আসে। ভারত–পাকিস্তানকে নিষিদ্ধ করা হয় না কেন? কারণ, আইসিসিতে তাদের অবস্থান বেশি।’
পুরো পরিস্থিতির জন্য বিসিসিআইকে দায়ী করেছেন লতিফ, ‘প্রথমবারের মতো বলছি, দায়টা এখানে বিসিসিআইয়ের। তারা যে কারণ দেখায়, সেটা খুবই দুর্বল। আপনাদের নিরাপত্তা নিয়ে আপত্তি থাকলে সেটা বলুন। আইসিসির নিরাপত্তা দল পাকিস্তানে এসে টুর্নামেন্ট নিয়ে সবুজ সংকেত দিয়ে গেছে। আপনাদের আপত্তি থাকলে ওদের বলতে পারতেন।’
(যুগান্তর)