প্রায় ১৪ মাস পর ইসরাইল-হিজবুল্লাহর মধ্যে বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। দুপক্ষের আন্তঃসীমান্ত লড়াই বন্ধ করার আগে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ মারা গেছে। চুক্তি অনুযায়ী আপাতত ৬০ দিনের জন্য লড়াই বন্ধ হবে। তবে এখনো ইসরাইলি সেনারা লেবানন ছেড়ে আসার খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার বৈরুতের স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৪ টা অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। যদিও ইসরাইলের সামরিক বাহিনী এবং হিজবুল্লাহ বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি ঘটবে কিনা তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে যুদ্ধ শেষ হবে— শেষ হবে। এটি শত্রুতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার জন্য চুক্তিটি করা হয়েছে।
বাইডেন আরো বলেন, উভয় পক্ষের বেসামরিক লোকেরা শীঘ্রই নিরাপদে তাদের সম্প্রদায়ে ফিরে যেতে সক্ষম হবে এবং তাদের বাড়ি, তাদের স্কুল, তাদের খামার, তাদের ব্যবসা এবং তাদের জীবন পুনর্নির্মাণ শুরু করবে।
হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো সরাসরি আলোচনায় অংশ নেয়নি। লেবাননের সংসদীয় স্পিকার নাবিহ বেরির হিজবুল্লাহর পক্ষে মধ্যস্থতা করছেন। যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেননি হিজবুল্লাহ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে যুদ্ধবিরতে সম্মত হয় ইসরাইল।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন নেতানিয়াহু। এ সময় চুক্তির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, উত্তর ইসরাইলের বাসিন্দারা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যাবেন।
লেবাননে হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে নেতানিয়াহু বলেন, হিজবুল্লাহকে ইসরাইলি বাহিনী পিছু হটিয়ে দিয়েছে। তারা কয়েক দশক আগের অবস্থায় চলে গেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘হিজবুল্লাহ যদি চুক্তি লঙ্ঘন করে, আমরা তাদের ওপর হামলা চালাব।’
হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পরপরই, হিজবুল্লাহর একই ধরনের হামলা ভয়ে লেবানন সীমান্তের উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলো থেকে প্রায় ৬০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নিয়েছে ইসরাইল। সে সব বাস্তচ্যুত বাসিন্দাদের এখনো ঘরে ফেরাতে পারেনি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার।
এখন ইসরাইলের বাস্তচ্যুত বাসিন্দাদের ঘরে ফেরানোর প্রক্রিয়ার শুরু হলেও, লেবাননের ব্যাপারে হঠকারি চিন্তা ইসরাইলের।