বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন




সোমবার আর্থিকখাতের লুটপাটের ফিরিস্তি ‍তুলে ধরবে সরকার: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪ ৪:০৪ pm
sdg logo sustainable development goals টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি Debapriya Bhattacharya economist Centre for Policy Dialogue CPD সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডি ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
file pic

আগামী ১ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার হাতে ও ২ ডিসেম্বর জাতির সামনে শ্বেতপত্র তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) আর্থিক খাতের লুটপাটের ফিরিস্তি তুলে ধরবে অন্তর্বর্তী সরকার। তার আগের দিন আর্থিক খাত নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার হাতে তুলে দেবে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।

ব্যাংক ও জ্বালানিখাতে বড় ধরনের অনিয়ম পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ব্যাংক ও জ্বালানিখাতে বেশি লুটপাট হয়েছে। এসব তুলে ধরা হবে প্রতিবেদনে।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অর্থনীতির ক্ষত ও পরিস্থিতি পরিমাপ করতে একটি মূল্যায়ন কমিটি করে অন্তর্বর্তী সরকার। সচিব, ব্যবসায়ী, নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিন মাস আলোচনা, পর্যালোচনা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে আর্থিক খাতে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।

এর আগে, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে গত ২৮ আগস্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এটি সামষ্টিক অর্থনীতির পাশাপাশি খাতওয়ারি পরিস্থিতিও পর্যালোচনা করছে।

দুর্নীতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে যে সম্পদ গড়ে তোলা হয়েছে, তা কেন বাজেয়াপ্ত করা হলো না, এই প্রশ্ন তুলেছেন অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের যে পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে, তা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে না পারলে কিসের বিপ্লব হলো।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, এই সম্পদ কোথায় গেল। এই সম্পদ কেন আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার অধিগ্রহণ করল না। এ ছাড়া লুণ্ঠনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের ব্যাংক ঋণ আছে, তা সমন্বয়ের জন্য তাঁদের সম্পত্তি কেন দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিগ্রহণ করা হলো না।

এমন পদক্ষেপের কথা শোনা গেলেও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। এটি করা গেলে মানুষের কর দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন র‌্যাপিডের নির্বাহী পরিচালক আবু ইউসুফ। আরও বক্তব্য দেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনোয়ারুল কবির, প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইআরএফের সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা ও সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD