শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন




যমুনা রেলসেতুতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু, উদ্বোধন মার্চে

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১:১৩ pm
রেললাইন রেল লাইন পদ্মা সেতু train Rail Railway Bangabandhu Jamuna Setu Bridge বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু যমুনা রেল
file pic

পরীক্ষামূলক যাত্রা শেষে যমুনার বুকে রেলসেতুতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। বুধবার রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি এই সেতু দিয়ে পার হয়েছে।

এই রেলসেতু দিয়ে এখন থেকে নিয়মিত ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছেন যমুনা রেল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান। তিনি আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বলেন, ‘আজ সকাল ১০টার দিকে সিল্কসিটি ট্রেনটি সেতু অতিক্রম করেছে। এই রুটে অন্য ট্রেনগুলোও এই সেতু দিয়ে চলাচল করবে।’

মাসউদুর রহমান জানান, রেলসেতুতে দুটি লাইন আছে। প্রথম পর্যায়ে একটি লাইন দিয়েই উভয় দিকে ট্রেন চলাচল করবে। আগামী ১৮ মার্চ রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। যোগাযোগ উপদেষ্টাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে থাকবেন। ওই দিন থেকে দুই লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এই সেতু দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয়ের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) গৌতম মণ্ডল বলেন, এখন থেকে এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৩৪টি ট্রেন চলাচল করবে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই সেতুতে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের এক নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো।

১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এ সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর রেলসেতুরটির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়

প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাইকা।
প্রথমে প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা নির্ধারিত হলেও পরে তা ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকায় উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ অর্থায়ন এসেছে দেশীয় উৎস থেকে এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ ঋণ দিয়েছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। দেশের বৃহত্তম রেল সেতুটির নির্মাণকাজ বাস্তবায়ন করছে জাপানি কোম্পানি ওটিজি ও আইএইচআই।

প্রকল্পের শুরুতে এই সেতুর নাম ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছরের ডিসেম্বরে সেতুর নাম পাল্টে যমুনা রেল সেতু করা হয়েছে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD