বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৪৯ অপরাহ্ন




শেখ মুজিবুরের ছবি বাদ দিয়ে নতুন টাকা আসছে এপ্রিল-মে মাসে

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ৬:৪৪ pm
money laundering illegal process money generated criminal drug trafficking terrorist funding illegally concealing illicit drug trafficking corruption embezzlement gambling converting legitimate source crime jurisdictions আমদানি ওভার ইনভয়েসিং রপ্তানি আন্ডার-ইনভয়েসিং আমদানি-রপ্তানি অবৈধ জাল অর্থ পাচার জিএফআই মানি লন্ডারিং আর্থিক খাত গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউ হুন্ডি অর্থ পাচার Per capita income মাথাপিছু আয় Reserves Reserve রিজার্ভ remittance রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় ডলার dollar Pagla Mosque পাগলা মসজিদ কোটি টাকা Per capita income মাথাপিছু আয় Reserves Reserve রিজার্ভ remittance রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় ডলার dollar Pagla Mosque পাগলা মসজিদ কোটি টাকা
file pic

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বাদ দিয়ে নতুন নকশার টাকার নোট আগামী এপ্রিলের শেষে বা মে মাসের শুরুতে বাজারে আসতে পারে।

এসব নতুন নোটে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষর থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

বুধবার তিনি বলেন, রোজার ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক আগামী ১৯ মার্চ নতুন নোট বাজারে ছাড়বে। সেসব নোট হবে আগের ডিজাইনের। অর্থাৎ, সেসব নোটে বঙ্গবন্ধুর ছবি এবং সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের স্বাক্ষর থাকবে।

“আর এপ্রিল শেষে কিংবা মে মাসের শুরুতে যখন বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন ডিজাইনের নোট ছাড়বে, সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদের স্বাক্ষর বাদ যাবে। নতুন নোটে বর্তমান গভর্নরের স্বাক্ষর থাকবে।”

এর কারণ ব্যাখ্যা করে আরিফ হোসেন বলেন, আগের নকশায় ছাপানো বিপুল পরিমাণ নোট এখনো রয়ে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।

“তাই অর্থের অপচয় রোধে নতুন ডিজাইনের নোট এখনই ছাপানো হচ্ছে না। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই অপচয় করতে চাচ্ছে না।”

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১৯ থেকে ২৫ মার্চ নতুন নোট বিনিময় করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ঢাকার বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকের ৮০টি শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে ৫, ২০ ও ৫০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। তবে একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট নিতে পারবেন না।

ঢাকা, সাভার, কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ ও গাজীপুরে বিভিন্ন ব্যাংকের ৮০টি শাখা থেকে এবার নতুন নোট সংগ্রহ করা যাবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের মুদ্রা ছাপানোর কাজটি করে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড, যা টাকশাল নামে পরিচিত। ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও ১৯৮৮ সালের জুন মাসে এক টাকা ছাপানোর মধ্য দিয়ে এ প্রেসের নোট ছাপানো শুরু হয়।

ওই বছরের নভেম্বর মাসে ১০ টাকার নোটও ছাপানো হয় সেখানে। প্রতিটি নোট ছাপানোর আগে এর নকশা অনুমোদন করে সরকার। সেজন্য দরপত্র ডেকে চিত্র শিল্পীদের দিয়ে নোটের নকশা করানো হয়।

নকশা চূড়ান্ত হলে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে কাগজ, কালি ও প্লেট তৈরি করা হয়। নকশা অনুযায়ী বিদেশ থেকে প্লেট তৈরি করে আনার পর ছাপার কাজটি করে টাকশাল।

সবশেষ নতুন নকশায় ২০০ টাকার নোট চালু হয় ২০২০ সালে। ওই নোটে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে নতুন রূপ দেওয়া হয়।

আগে ছাপানো নোটে ব্যবহৃত বঙ্গবন্ধুর ছবি বাদ দিয়ে আরো স্পষ্ট করে দুই ধরনের ছবি ব্যবহার করা হয় ২০২০ সাল থেকে। এরপর ছাপানো সব নোটে ওই দুই ধরনের ছবিই ব্যবহার করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাড়া সবশেষ নোট ছাপা হয়েছিল ২০০৯ সালে। তখন গভর্নরের দায়িত্বে থাকা সালেহ উদ্দিন আহমেদ এখন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা। ওই সময় ছাপা লাল রঙের ৫০০ টাকা এবং এক হাজার টাকার কিছু নোট এখনো দেখা যায়।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD