বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন




আওয়ামী লীগ নেতাদের যত দুর্নীতি

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২১ মার্চ, ২০২৫ ১১:৩২ am
চাঁদাবাজি শেয়ার বাজার শেয়ারবাজার Anti Corruption Commission acc দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক Dudok দুর্নীতি দাম বাড়বে কমবে Inflation মূল্যস্ফীতি dse cse ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই Dhaka Stock Exchange চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ Chittagong Stock Exchange dse cse ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই Dhaka Stock Exchange চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ Chittagong Stock Exchange শেয়ারবাজার dse ডিএসই Share point সূচক অর্থনীতি economic দরপতন dse ডিএসই শেয়ারবাজার দর পতন পুঁজিবাজার CSE BSEC share market DSE CSE BSEC sharemarket index discrimination সূচক market down INFLATION Inflation মূল্যস্ফীতি dse cse ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই Dhaka Stock Exchange চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ Chittagong Stock Exchange dse cse ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই Dhaka Stock Exchange চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ Chittagong Stock Exchange শেয়ারবাজার dse ডিএসই Share point সূচক অর্থনীতি economic দরপতন dse ডিএসই শেয়ারবাজার দর পতন পুঁজিবাজার CSE BSEC share market DSE CSE BSEC sharemarket index discrimination সূচক market down infla বাংলাদেশ-অর্থনীতি
file pic

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েক নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্পে অর্থ লুট, বিপুল খাদ্যশস্য আত্মসাৎ, ভিজিডি বিতরণে অনিয়মসহ সীমাহীন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে।

উপজেলা আ.লীগ সহসভাপতি ও ফারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যা, ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ও ১নং ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যাসহ দলটির উপজেলার বেশ কয়েক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে দেওয়া হয়েছে লিখিত অভিযোগ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগকারীদের একজন বলেন, ২০২৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর দুদকের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকারের আমলে কাগজে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে কোনো রকম কাজ ছাড়াই সম্পূর্ণ অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন তারা, যা সুষ্ঠু তদন্তে আসল সত্য উঠে আসবে। দুর্নীতিবাজরা দলের প্রভাব খাটিয়ে এ ধরনের অপকর্মের মাধ্যমে বনে গেছেন কোটি টাকার মালিক। গড়ে তুলেছেন আয়বহির্ভূত অঢেল সম্পদের পাহাড়।

অভিযোগে বলা হয়, বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নে অসংখ্য ভুয়া উন্নয়ন প্রকল্পে আত্মসাৎ করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। দরপত্র আহ্বান ছাড়াই কাজ ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়েছিল বিপুল অর্থের সুবিধা।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, বৃষ কেতু চাকমা ও অংসুই প্রু চৌধুরীর আমলে বিলাইছড়ি উপজেলার দায়িত্বে থাকা জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়ার মাধ্যমে জেলা পরিষদ থেকে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়নে বরাদ্দ দেওয়া সব উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ না করে ভুয়া বিল-ভাউচারে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছিলেন দুর্নীতিবাজরা। ফারুয়া ইউনিয়নের প্রচলিত সড়ক থেকে বালুচরা পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়ক প্রকল্পে সম্পূর্ণ অর্থ লুট করা হয়েছে।

এ প্রকল্পে কাজের কোনো অস্তিত্বই নেই। ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের লতাপাহাড় থেকে শুকরছড়ি পর্যন্ত সড়কের কাজ না করে ভুয়া বিলে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এছাড়া ফারুয়া ইউনিয়নের শুকরছড়ি থেকে গবাইছড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ৪৫ লাখ, মন্দিরাছড়া থেকে পূর্ব মন্দিরাছড়া পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে ৪০ লাখ, ৩নং ওয়ার্ডের লতাপাহাড় পাড়ায় একটি জিপিএস পানির লাইন স্থাপন প্রকল্পে ৩৮ লাখ এবং গবাইছড়ি থেকে চংড়াছড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পে ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান বিদ্যালাল তঞ্চঙ্গ্যার বিলাইছড়ি ছাড়াও রাঙামাটি শহর ও বান্দরবান শহরে রয়েছে কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। তিনি ২০১৬ সালে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার ইউনিয়নের ৭০০ দুস্থ পরিবারের প্রত্যেকের ভিজিডি কার্ডের বিপরীতে ৩০ কেজি চালের মাত্র ৫০০ টাকা করে নগদে বিতরণ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন।

এছাড়া টিআর, কাবিখা ও কাবিটার ভুয়া প্রকল্পে বিপুল অর্থ লুট করেছিলেন। তিনি পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদে থাকায় ফারুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগসাজশে আপন বোন, আপন ভাইয়ের স্ত্রী, ভাইয়ের ছেলে ও ভাগনেক বিদ্যালয়টিতে চাকরি দিয়েছেন। পাশাপাশি ফারুয়া ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যাও নামে-বেনামে গড়েছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। তিনি ফারুয়ার উলুছড়িপাড়ায় অর্ধকোটির অধিক টাকা ব্যয়ে একটি একতলা ভবন নির্মাণ করেছেন।

বিলাইছড়ি উপজেলা সদরে নিজ নামে ৪০ লাখ টাকার জমি কিনেছেন। অভিযোগে বিদ্যালাল ও উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যার সঙ্গে দুর্নীতিতে ফারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য ও ইউনিয়ন আ.লীগ সদস্য রিনু কুমার তঞ্চঙ্গ্যা, ৫নং ওয়ার্ড সদস্য সিদ্ধার্থ চাকমা ও ৮নং ওয়ার্ড সদস্য সুভানন্দ তঞ্চঙ্গ্যাসহ আরও কয়েকজন জড়িত বলে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার চেষ্টার পরও দুর্গমতার কারণে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে দুদক রাঙামাটি সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সারওয়ার বলেন, প্রধান কার্যালয় থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে নির্দেশনা এলে তদন্তে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
(যুগান্তর)




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD