শুল্ক নিয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত শুল্ক সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে ঢাকায় সফররত দেশটির প্রতিনিধি দল। আগামী ৯ জুলাই ওই শুল্ক আদেশের ওপর ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ শেষ হওয়ার আগেই এটি করার কথা বলেছেন তারা। মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল অ্যান চুলিক ও অ্যান্ড্রু হেরাপের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এ পরামর্শ দেয়। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকে প্রতিনিধি দল জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক আদেশের ওপর ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ খুবই সীমিত সময়ের। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এর মধ্যেই বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
পররাষ্ট্র সচিব এ সময় শুল্ক স্থগিতে যুক্তরাষ্ট্রকে দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টার চিঠির কথা উল্লেখ করে জানান, অন্তর্বর্তী সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলায় কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। তিনি প্রতিনিধি দলকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ দিনের স্থগিতাদেশকে বিরতি হিসেবে বিবেচনা করে না বাংলাদেশ। পারস্পরিক স্বার্থে নতুন সংকট মোকাবিলার উপায় খুঁজে বের করতে অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে এ সময় কাজে লাগানো হচ্ছে।
এ ছাড়া বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়। বাণিজ্যের পাশাপাশি বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা, দুই দেশের জনগণের যোগাযোগ এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেন তারা।
পররাষ্ট্র সচিব শ্রম মান উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ১১টি সংস্কার কমিশনের সংস্কার উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। মার্কিন প্রতিনিধি দল এ সময় সরকারের সংস্কারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক বৈদেশিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএআইডির তহবিল হ্রাসের বিষয়টি উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব সংস্থাটির স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে তহবিলের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করেন। মার্কিন উন্নয়ন অর্থ করপোরেশনে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য সমর্থনও চান। এ বিষয়ে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন বলে জানায় মার্কিন প্রতিনিধি দল।