বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৪ অপরাহ্ন




ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্প, ভাণ্ডারিয়ায় কোটি টাকা লোপাট

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫ ১০:১৪ am
চাঁদাবাজি ঋণ চুরি Anti Corruption Commission acc দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক Dudok টাকা পাচার Per capita income মাথাপিছু আয় Reserves Reserve রিজার্ভ remittance রেমিট্যান্স প্রবাসী আয় ডলার dollar Pagla Mosque পাগলা মসজিদ কোটি টাকা Pagla Mosque পাগলা মসজিদ কোটি টাকা taka taka money laundering illegal process money generated criminal drug trafficking terrorist funding illegally concealing illicit drug trafficking corruption embezzlement gambling converting legitimate source crime jurisdictions আমদানি ওভার ইনভয়েসিং রপ্তানি আন্ডার-ইনভয়েসিং আমদানি-রপ্তানি অবৈধ জাল অর্থ পাচার জিএফআই মানি লন্ডারিং আর্থিক খাত গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিএফআইইউ হুন্ডি অর্থ পাচার taka
file pic

পিরোজপুর ও ঝালকাঠী জেলার ৮৫ ভাগ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ এখনো পৌঁছায়নি। কাজ না করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার অ্যাকসেস টেলিকমের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এর আওতায় পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২শ ৪৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ প্রকল্পের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার আবেদন করেছে। ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতায় পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার ৮৫ ভাগ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ এখনো পৌঁছায়নি। এর মধ্যে রয়েছে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ২শ ১১টি, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ৮টি, স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তরের আওতায়ধীন ২৪টি, উপজেলা আইসিটি সেবা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১টি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পিরোজপুর জেলায় ১ হাজার ৫শ ৯২টি এবং ঝালকাঠি জেলায় ৯শ ৭২টি প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্পের আওতায় ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে উচ্চ গতিসম্পন্ন ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজটি পায় রাজধানীর কারওয়ান বাজরের অ্যাকসেস টেল নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ধরা হয় ৩৫ হাজার টাকা। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে রাউটার পৌঁছে দিলেও কোনো সংযোগ না দিয়েই সটকে পড়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ভাণ্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস, নদমূলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস, গৌরিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস, দক্ষিণ শিয়ালকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর নদমুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পূর্ব নদমুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম চরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর আতরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশারীবুনিয়া হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিজ ভাণ্ডারিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ভাণ্ডারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পূর্ব ভাণ্ডারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ পৈকখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব তেলিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাধানগর চড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব আতরখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইকড়ি খলিফা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দ. পশ্চিম ইকড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ১৯টি প্রতিষ্ঠানে সংযোগ দেওয়া হয়। সংযোগ দেওয়া প্রতিষ্ঠানে ২-৩ দিন লাইন সচল থাকার পর আবার তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৫ সালে ৩০ জুন এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শর্ত সাপেক্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। ইতোমধ্যে তাদের কাজের গতি এবং মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে। কিছু প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র একটি করে রাউটার পৌঁছে দিয়েছে। কার্যাদেশ অনুযায়ী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে ফাইবার অপটিক মাধ্যমে দ্রুতিগতি সম্পন্ন ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপনের কথা রয়েছে। এত অল্প সময়ে কিভাবে এতগুলো সংযোগ দেবে ঠিকারদার প্রতিষ্ঠানটি। আদৌ সংযোগ দেবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

অ্যাকসেস টেলিকম এর সিনিয়র ব্যবস্থাপক রায়হান রশিদ বলেন, ভাণ্ডারিয়া উপজেলায় ২শ ৪৪টি প্রতিষ্ঠানের ১১১টি প্রতিষ্ঠানে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় আইএসপি কোম্পানির সহযোগিতায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শতভাগ কাজ সম্পন্ন করা হবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় আইএসপি ব্রডব্যান্ড কোম্পানি পিসিএন এর মালিক মাসুদ রানা পলাশ এবং ইফটি আইএসপি ইন্টারনেট এর প্রকৌশলী মো. শাহীন জানান, এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। উপজেলা তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা সত্যজিৎ অধিকারী (সহকারী প্রোগ্রামার) বলেন, তাদের অফিসে কাজের শুরুতে একটি চিঠি দিয়ে অবগত করানো হয়। এ বিষয় তার কাছে তেমন কোনো তথ্য দেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিনিধি সংযোগ স্থাপন করা হলে তার মোবাইলে একটি মেসেজ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন এর বেশিকিছু তিনি জানে না। এ ব্যাপারে ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি) প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) তানজিলা ইসলাম বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে কিনা ফাইল না দেখে কিছুই বলতে পারছি না। (যুগান্তর)




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD