ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভুক্ত সদস্য দেশগুলোতে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ চাকরির সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র ফ্রান্স ও জার্মানিতেই প্রায় সাত লাখ করে পদ খালি। তাই স্নাতকোত্তর শেষে ইউরোপে স্থায়ীভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় গন্তব্য হয়ে উঠছে বলে জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক শীর্ষ শিক্ষা ও অভিবাসন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ওয়াই-অ্যাক্সিসের পরিচালক ক্লিন্ট খান।
সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ-এর এডুফেয়ার ২০২৫-এ বক্তব্য দিতে গিয়ে ক্লিন্ট খান বলেন, ‘গোটা ইউরোপে সম্প্রসারিত চাকরির বাজার ও পড়াশোনা শেষে অনুকূল ভিসা নীতিমালা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্ভাবনার পথ তৈরি করছে।’ খানের মতে, ‘ইউরোপ এখন দ্রুতই এমন এক বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে, যেখানে একদিকে একাডেমিক (শিক্ষাগত) উৎকর্ষতা রয়েছে, অন্যদিকে পড়াশোনা শেষে কর্মজীবন শুরু করার বাস্তব সুযোগও মেলে।
তিনি বলেন, ‘ইউরোপজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ চাকরির সুযোগ রয়েছে। শুধু ফ্রান্স ও জার্মানিতেই প্রায় ৭ লাখ করে ১৪ লাখ শূন্যপদ রয়েছে। ইইউ ব্লু কার্ড বা সাধারণ কর্ম ভিসার মতো সুযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ধীরে ধীরে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিও (পিআর) পেতে পারে এবং ইইউজুড়ে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থী যদি ১৮ বা ১৯ বছর বয়সে ইউরোপে পড়াশোনার জন্য যায়, তবে ২৬ বা ২৭ বছর বয়সে তিনি গোটা ইউরোপে কাজ করার সুযোগ পেতে পারেন – যা এক অসাধারণ সম্ভাবনা। তাই পোস্ট-স্টাডির ক্ষেত্রে পথনির্দেশনাগুলো শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’