ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইরান সব সময় স্থিতিশীলতা, শান্তি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা কামনা করে এবং তার মৌলিক নীতির কারনে কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করেনি।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পেজেশকিয়ান ইরানে নিযুক্ত নতুন সুইস রাষ্ট্রদূত অলিভিয়ের ব্যাঙ্গার্টারের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।
বৈঠকে ইরানি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইরান পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে স্থিতিশীলতা, শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি অটল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামি বিপ্লবের বিজয়ের পর থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যোগাযোগের একটি ঐতিহাসিক সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে সুইজারল্যান্ড।’
ইরানি প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রদূত ব্যাঙ্গার্টারকে অনুরোধ করেন, যেন তিনি মার্কিন কর্মকর্তাদের জানান যে, ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করেনি এবং বরাবরই তার মৌলিক নীতি ও নীতিমালা মেনে চলেছে।
পেজেশকিয়ান ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের গঠনমূলক, নিরপেক্ষ ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের প্রশংসা করেন, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিরোধের ক্ষেত্রে।
তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু ইউরোপীয় দেশের নিষেধাজ্ঞা ও ভ্রান্ত নীতির ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ওষুধ ও খাদ্য খাতে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রদূত ব্যাঙ্গার্টার ইরানে তার মিশন শুরু করতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং তার প্রধান লক্ষ্যগুলো তুলে ধরেন। তা হলো—তেহরান ও বার্নের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা এবং তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ সেতু হিসেবে সুইজারল্যান্ডের ভূমিকা শক্তিশালী করা।
রাষ্ট্রদূত আশ্বস্ত করেন, তিনি এসব লক্ষ্য অর্জনে কোনো প্রচেষ্টাই বাদ দেবেন না এবং পাশাপাশি ইরানি জনগণের সংস্কৃতি, ইতিহাস ও আতিথেয়তার প্রতিফলন ঘটানোরও চেষ্টা করবেন।
তথ্যসূত্র: মেহের