বৃহস্পতিবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪৭ অপরাহ্ন




মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনীতির সার্বিক বিষয়ে যে ‘সুখবর’ দিলেন গভর্নর

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ১০:৫৮ am
শেয়ার বাজার শেয়ারবাজার বাজেট Budget বাজেট Budget বাজেট Inflation মূল্যস্ফীতি index dse cse ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই Dhaka Stock Exchange চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ Chittagong Stock Exchange dse cse ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই Dhaka Stock Exchange চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ Chittagong Stock Exchange শেয়ারবাজার dse ডিএসই Share point সূচক অর্থনীতি economic দরপতন dse ডিএসই শেয়ারবাজার দর পতন পুঁজিবাজার CSE BSEC share market DSE CSE BSEC sharemarket index discrimination সূচক market down বাজেট বাজেট Budget-বাজেট
file pic

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বুধবার (৮ অক্টোবর) এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়ে ১২.৫ শতাংশ থেকে নেমে ৮.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা এখনো ব্যাংকিং খাতের সার্বিক অবস্থা পুরোপুরি পুনরুদ্ধার করতে পারিনি। তবে চলমান সংস্কার কার্যক্রমে ধীরে ধীরে অগ্রগতি হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু ইতিবাচক ফলাফল দৃশ্যমান হয়েছে।

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে পাঁচ মাসের আমদানির সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রেখেছে। মূল্যস্ফীতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে ১২.৫ শতাংশ থেকে ৮.৩ শতাংশে নেমে এসেছে।

তিনি আরও বলেন, গত এক-দুই মাসে মূল্যস্ফীতি আরও কমে প্রায় ৭ শতাংশে নামতে পারত, তবে চালের দামের সাময়িক বৃদ্ধির কারণে তা সম্ভব হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের টেকসই উত্তরণের কৌশল বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণের জন্য গঠিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় গভর্নর এসব কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

গভর্নর আরও বলেন, চালের দাম আবারও কমতে শুরু করেছে এবং আশা করা যাচ্ছে সামনের দিনগুলোতে মূল্যস্ফীতি আরও হ্রাস পাবে।

খেলাপি ঋণ নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৪ শতাংশে পৌঁছেছে। এটি মূলত পূর্ববর্তী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও ব্যাংক লুটের কারণে হয়েছে। যা ব্যাংক খাতের সার্বিক অবস্থাকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

গভর্নর বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের কারণেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন খেলাপি ঋণ ২৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

আর্থিক খাত পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে তিনি বলেন, পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত করা হবে এবং ৯টি নন-ব্যাংকিং ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন (লিজিং কোম্পানি) ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা কার্যক্রম উৎসাহিত করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৯০০ কোটি টাকার একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড গঠন করা হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক অতিরিক্ত ৬০০ কোটি টাকা দেবে বলে জানান গভর্নর।

তিনি আরও বলেন, রাজস্ব আয় বাড়ানো ও নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনার খরচ কমানোর জন্য বাংলাদেশে একটি ক্যাশলেস লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।

এ সময় বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, কৃষি উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএপিআই) সভাপতি আব্দুল মুকতাদির উপস্থিত ছিলেন।(যুগান্তর)




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD