শাপলা চত্বরের শহীদদের নাম স্বর্ণাক্ষরের লিখে যেতে চান বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আব্দুল গনি রোডের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞে শহীদদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘শাপলা চত্বরে শহীদদের স্বীকৃতি ও সামান্য উদ্যোগ নিতে পেরে আমরা গর্ব বোধ করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঐতিহাসিক শাপলা চত্বরের ৫ মে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের নাম শাপলা চত্বরে স্বর্ণাক্ষরের লিখে যেতে চাই।’
অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেন, ‘আজকের এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হলো হেফাজতের আন্দোলন যৌক্তিক ছিলো, শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাইয়ের নিহত-আহদের নিয়ে ৮ খণ্ডের প্রামাণ্যচিত্রের আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় অনুবাদিত হয়েছে। শাপলার হত্যাযজ্ঞেরও আরবি, বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় প্রামাণ্যচিত্র করা প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা বলেন, আ.লীগ আমলে যারা শাপলা চত্তরে শহিদ হয়েছেন, তাদের পরিবারগুলো ভয় পেত পরিচয় দিতে। অর্ন্তবর্তী সরকারের উদ্যোগে শহিদদের সম্মাননা দেয়ার কাজ চলমান আছে।
তিনি বলেন, একটি দেশে ইতিহাস ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় শহিদদের অবদান সবসময় স্মরণ রাখতে হবে। অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানান, মৃত্যুর তথ্য নিয়ে যখন মিথ্যাচার হতো সে সময় কোনো প্রতিবাদ হয়নি। শাপলা চত্বরের ঘটনায় এখনকার মতো যদি বিগত সময় গরম বক্তব্য দিতো আলেম সমাজ, তাহলে ইতিহাস মুছে ফেলার সাহস দেখাতে পারতো না ফ্যাসিবাদী শক্তি।
বিগত সময় করা হয়রানি মূলক মিথ্যা প্রত্যাহারের কাজ চলমান আছে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা জানান, হেফাজত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহার করা হবে। অনুষ্ঠানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, ৫ মে নিষ্ঠুরতার সীমা অতিক্রম করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার হলে আর কেউ আলেম ওলামাদের ওপর এ ধরনের হামলার সাহস দেখাতে পারবে না। অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে একটি ঐক্য তৈরি হয়েছে বলে জানান এই জামায়াত নেতা। তিনি বলেন, এই ঐক্য ব্যর্থ হলে দেশ গভীর সংকটে পড়বে।