নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আইনগত ক্ষমতা ও বিধিমালার বাইরে কোনো কিছু করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
তিনি বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দ বিধিমালা অনুযায়ী যে প্রতীকগুলো তালিকাভুক্ত আছে, সেখান থেকেই প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দিতে হয়। আইন অনুযায়ী আমাদের তালিকায় যে প্রতীক নেই, সেটি কোনোভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশন আইনের বাইরে গিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সিলেট পুলিশ লাইনসে নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রমজান মাসের আগেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি।’
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রসঙ্গে কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। অতীতে যা দেখেছেন বা শুনেছেন সেসব হওয়ার কোনো অবকাশ এবার নেই। আমরা চাই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। ভালো নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ডসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে ব্যাপক সহযোগিতার আশ্বাস পাচ্ছি। তাই আমরা কোনো চ্যালেঞ্জ অনুভব করছি না।’
নির্বাচন প্রচলিত প্রক্রিয়ায় নাকি পিআর পদ্ধতিতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এটি নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করবো না। রাজনীতিবিদরাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা সরকারের ও জনগণের সহযোগিতায় সেটিই করবো।’
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, কারণ দলটির কার্যক্রম বর্তমানে আইনগতভাবে স্থগিত রয়েছে।’