হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে শনিবার দুপুর থেকে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা। এতে আগমন ও বহি:র্গমনে বিপাকে পাড়েন বিদেশগামী যাত্রীরা। বিশেষ করে ট্রানজিট যাত্রীরা সময়মতো পরবর্তী ফ্লাইট ধরতে না পারায় চরম বিপাকে পড়েন।
এদের মধ্যে একজন ফেনীর ওমর ফরহাদ জনি। দুবাই যেতে এসেছিলেন বিমানবন্দরে, কিন্তু পৌঁছে জানতে পারেন গন্তব্যের ফ্লাইট শিডিউল পরিবর্তন হয়েছে। এখন কখন ছাড়বে সেটার কোন নিশ্চয়তা না থাকায় চিন্তিত তিনি।
তার মত এমন অনেক বিদেশগামী যাত্রী শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে পড়েছেন শিডিউল বিপর্যয়ের ফাঁদে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় বাড়ে দুর্ভোগও।
যদিও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয় শনিবার রাত ৯ টার পর পুনরায় চালু হবে সব রুটের বিমান চলাচল। তবে সব ফ্লাইট সময় মেনে চলতে পারেনি। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের দাবি, শীঘ্রই শিডিউল বিপর্যয় নিরসন হবে।
এদিকে, ঢাকা বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণার পর চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ মিলে ৮টি ফ্লাইট অবতরণ করে। এছাড়াও ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের দুটি বোয়িং বিমান অবতরণ করে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।