শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন




যে কোনো মূল্যে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে: তারেক রহমান

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫:২২ pm
Tarique Rahman তারেক রহমান Bangladesh Nationalist Party BNP ‎বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি
file pic

যুক্তরাজ্যে ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার ইচ্ছার কথা জানালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, নারী-পুরুষ-শিশুসহ সব শ্রেণি-পেশা এবং সব ধর্মের মানুষ যাতে নিরাপদে থাকে, সেই চেষ্টা তাঁর ও তাদের দলের থাকবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার পূর্বাচলের ৩০০ ফুট এলাকায় গণসংবর্ধনা মঞ্চে দাঁড়িয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে এই সংবর্ধনার আয়োজন করে বিএনপি। এ সময় তিনি শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার প্রত্যয় ব্যক্ত করে যে কোনো উস্কানির মুখে শান্ত থাকতে সবাইকে আহ্বান জানান।

সবাই মিলে দেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা দেশের শান্তি চাই। আমরা সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যা একজন মা দেখেন। যে বাংলাদেশে একজন মানুষ নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারে এবং নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারে।’

‘প্রিয় বাংলাদেশ’ বলে শুরু করা বক্তব্যে তারেক রহমান দেশের মানুষের জন্য, দেশের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য তাঁর সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে বলে জানান। এ সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কিংবদন্তি কৃষ্ণাঙ্গ নেতা ও মানবাধিকারকর্মী মার্টিন লুথার কিংয়ের বিখ্যাত ‘আই হ্যাভ আ ড্রিম’ ভাষণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসেবে আমি বলতে চাই– ‘আই হ্যাভ আ প্ল্যান ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি (দেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য আমার একটি পরিকল্পনা আছে)। এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য।’

তারেক রহমান বলেন, ‘যদি সেই কার্যক্রম, সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন এবং সারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তির যত মানুষ আছেন, প্রত্যেক মানুষের সহযোগিতা আমার লাগবে।’ তিনি বলেন, ‘আধিপত্যবাদী শক্তির গুপ্তচররা এখনও বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জোর দিয়ে বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। আমরা দেশের শান্তি চাই, শান্তি চাই, শান্তি চাই।’
বিকেল ৪টার আগে পূর্বাচলে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়েতে আয়োজিত সংবর্ধনা মঞ্চে ওঠেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে দীর্ঘ পথ ভ্রমণের পর সিলেট হয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে বুলেটপ্রুফ বাসে পুরোটা পথ দাঁড়িয়ে তিনি লাখ লাখ নেতাকর্মীর শুভেচ্ছার জবাব দিতে দিতে সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান। মঞ্চে ওঠার পর তিনি উপস্থিত জ্যেষ্ঠ নেতা ও জোট শরিকের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর ১৬ মিনিট বক্তব্য দেন।

এর আগে সকাল ১০টা থেকে মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানী ও প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন। তারেক রহমানকে বহন করা উড়োজাহাজ যখন ঢাকার মাটি স্পর্শ করে, তখন পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু করা হয়। সকাল থেকে বিরতি দিয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের সংগ্রামী জীবন ছাড়াও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।

‘প্রিয় বাংলাদেশ’
বিকেল ৩টা ৫১ মিনিটের দিকে মঞ্চে ওঠার কিছু সময় পরই লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে তিনি ‘প্রিয় বাংলাদেশ’ বলে বক্তব্য শুরু করেন। দেশে ফিরতে পেরে তিনি মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ‘আজ প্রথমেই আমি রাব্বুল আলামিনের দরবারে হাজারো লক্ষ-কোটি শুকরিয়া জানাতে চাই। রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে আমি আমার প্রিয় মাতৃভূমিতে ফিরে আসতে পেরেছি। আপনাদের দোয়ায় আপনাদের মাঝে আসতে পেরেছি।’

মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ
মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণ করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর আধিপত্যবাদীদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সিপাহি-জনতার বিপ্লব হয়েছিল। একইভাবে এই দেশের খেটে খাওয়া মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ছিনিয়ে এনেছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে এই দেশের ছাত্র-জনতা, কৃষক-শ্রমিক, গৃহবধূ, নারী-পুরুষ, মাদ্রাসার ছাত্রসহ শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে সব মানুষ ৫ আগস্ট এই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছে।’

ওসমান হাদিকে স্মরণ
তারেক রহমান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এই বাংলাদেশে চব্বিশের আন্দোলনের এক সাহসী প্রজন্মের সদস্য ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে; ওসমান হাদি শহীদ হয়েছেন। ওসমান হাদি চেয়েছিলেন, এই দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক, এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক, এই দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। আজ চব্বিশের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন– ওসমান হাদিসহ বিগত স্বৈরাচারের সময় যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের রক্তের ঋণ যদি শোধ করতে হয়, তবে আসুন আমরা আমাদের সেই প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলি। যেখানে আমরা সবাই মিলে কাজ করব, যেখানে আমরা সবাই মিলে আমাদের প্রত্যাশিত বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।’

তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘বিভিন্ন আধিপত্যবাদী শক্তির দোসররা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যে কোনো উস্কানির মুখে আপনাদের ধীর ও শান্ত থাকতে হবে। যে কোনো মূল্যে এই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে।’

নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন
একটি নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সময় এসেছে সবাই মিলে দেশ গড়ার। এই দেশে যেমনি পাহাড়ের মানুষ আছে, তেমনি সমতলের মানুষ আছে। মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বসবাস করে। আমরা চাই সবাই মিলে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলব, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন একজন মা দেখেন, অর্থাৎ একটি নিরাপদ বাংলাদেশ। যেখানে একজন নারী, একজন পুরুষ বা একজন শিশু যেই হোক না কেন, নিরাপদে ঘর থেকে বের হলে নিরাপদে আবার ঘরে ফিরে আসতে পারে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই দেশের জনসংখ্যা অর্ধেক নারী, চার কোটিরও বেশি তরুণ প্রজন্মের সদস্য, পাঁচ কোটির মতো শিশু এবং ৪০ লাখের মতো প্রতিবন্ধী মানুষ রয়েছে। কয়েক কোটি কৃষক-শ্রমিক রয়েছেন। এই রাষ্ট্রের কাছে এই মানুষগুলোর একটি প্রত্যাশা আছে। আজ আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ হই, তবে আমরা এই লাখকোটি মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি।’

নেতাকর্মীকে সতর্ক করে তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের সদস্যরা, যারা আগামী দিনে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন– এই দায়িত্ব আজ তাদের গ্রহণ করতে হবে। যাতে করে এই দেশকে আমরা সত্য ভিত্তি, গণতান্ত্রিক ভিত্তি ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর গড়ে তুলতে পারি।’

দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে
কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। আসুন, আজকে আমরা দুহাত তুলে আল্লাহর দরবারে দোয়া করি। আমরা আল্লাহর রহমত চাই। যেসব জাতীয় নেতা এই মঞ্চে আছেন, মঞ্চের বাইরে আরও যেসব জাতীয় নেতা আছেন– আমরা সবাই মিলে এই দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের প্রত্যাশিত সেই বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। আমাদের যে কোনো মূল্যে এই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। যে কোনো উস্কানির মুখে আমাদের ধীর-শান্ত থাকতে হবে। আমরা দেশে শান্তি চাই।’

ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে দেশ পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি, আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্বে যারা আসবেন, আমরা সবাই নবী করিম (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’

মায়ের জন্য চাইলেন দোয়া
মা খালেদা জিয়ার অসুস্থতার প্রসঙ্গ তুলে তারেক রহমান বলেন, ‘সন্তান হিসেবে আমার মন আমার মায়ের বিছানার পাশে পড়ে আছে, সেই হাসপাতালের ঘরে। কিন্তু যেই মানুষটি এই দেশের মাটির জন্য, মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন, সেই মানুষগুলোকে (জনতা) আমি কোনোভাবেই ফেলে যেতে পারি না। সে জন্যই আজ হাসপাতালে যাওয়ার আগে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার জন্য এখানে দাঁড়িয়েছি।’

সবশেষে তিনি শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, যাতে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারে। শিশু হোক, নারী হোক, পুরুষ হোক– যে কোনো বয়স, শ্রেণি, পেশা বা ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ থাকে, এই হোক আমাদের চাওয়া।’

সংবর্ধনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সংবর্ধনা মঞ্চে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।

এ ছাড়া দীর্ঘদিনের যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীর মধ্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, এনডিএমের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী প্রমুখ।

প্লাস্টিকের চেয়ারে বসলেন তারেক রহমান
‎রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নিজের জন্য নির্ধারিত বিশেষ আসন সরিয়ে তারেক রহমান প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেন। মঞ্চে সারি সারি চেয়ার পাতা ছিল এবং প্রটোকল অনুযায়ী প্রতিটি চেয়ারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামও লেখা ছিল। মঞ্চের ঠিক মাঝখানে তারেক রহমানের জন্য রাখা ছিল বিশেষ নকশার একটি চেয়ার। তিনি সেটিতে না বসে প্লাস্টিকের চেয়ারে বসেন।

দুই দিনের কর্মসূচি
তারেক রহমান শুক্রবার জুমার নামাজের পর প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। সেখান থেকে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

আগামীকাল শনিবার তারেক রহমানের দুটি কর্মসূচি রয়েছে। এদিন তিনি তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ করবেন। তবে এ জন্য সশরীরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবেন কিনা, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ওই দিনই ভোটার হতে সব কাজ সম্পন্ন করবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এরপর শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন।

ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে সেখান থেকে রাজধানীর শ্যামলীতে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যাবেন তারেক রহমান। এরপর আরেকটি অনুষ্ঠান হবে। তার বিস্তারিত এখনও জানানো হয়নি।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD