বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সারাদেশ থেকে আগত প্রায় ৬ হাজারের বেশি সদস্যের অংশগ্রহণে শুরু হয় এ আয়োজন।
এসব সদস্যদের প্রত্যক্ষ গোপন ভোটে পরবর্তী বছরের শীর্ষ নেতৃত্ব সামনে আসবে। সভাপতিসহ বর্তমান কমিটির বেশ কয়েকজনের ছাত্রত্ব শেষ হওয়ায় তারা বিদায় নেবে বর্তমান কমিটি থেকে। গঠনতান্ত্রিক নিয়ম অনুযায়ী নতুন নির্বাচিত সভাপতি একজনকে সেক্রেটারি মনোনীত করবেন। সদস্য সম্মেলনে উপস্থিত আছেন সংগঠনটির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও জামায়াতের শীর্ষ নেতারা।
সংগঠনটির নেতারা জানিয়েছেন, আলোচনায় থাকা নেতাদের মধ্য থেকেই সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। একই সঙ্গে যিনি সভাপতি নির্বাচিত হবেন, তিনি ব্যতিক্রম না হলে আলোচনায় থাকা অন্য নেতাদের মধ্য থেকেই একজনকে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে মনোনয়ন দেবেন।
তবে সংগঠনটির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ছাত্রশিবিরের রাজনীতিতে সাধারণত সেক্রেটারি জেনারেলই পরবর্তী সময়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পান। এই ধারার ব্যতিক্রম সংগঠনটির ইতিহাসে খুব একটা দেখা যায়নি।
জুলাই বিপ্লবে প্রাণ হারানো মুনতাসির আলিফের বাবা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ওসমান হাদির বড় ভাই তার বক্তব্যে নিজের জীবনের শঙ্কা প্রকাশ হাদি হত্যার বিচার চান।
শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একাত্তরের চেতনার নামে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট বাহিনী দেশে গুম, খুন, লুটপাট ও শিবিরের নেতাকর্মীদের হত্যার উপযোগী বলে প্রতিষ্ঠিত করেছিলো।’ জুলাই ছাড়াও ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিপক্ষ বিভিন্ন সংগঠনের হাতে নিহত ২৩৮ জনের হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চেয়েছেন জাহিদুল ইসলাম।