চার মাস আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দায়িত্ব নেওয়ার সময় অমিনুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমি দ্রুত একটি টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলতে এসেছি।’ সোমবার বিসিবির নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে আমিনুল ইসলাম জানালেন, তিনি গেম ডেভেলপমেন্টের প্রেমে পড়ে গেছেন। এবার তিনি টেস্ট ইনিংস খেলবেন।
বিসিবিতে প্রবেশ করলেই প্রেমে পড়ে যাওয়ার উদাহরণ এটা নতুন নয়। একবার এখানে প্রবেশ করলে কেউই যেন বের হতে পারেন না বা চান না। যাকে হটিয়ে বিসিবির সভাপতি হয়েছিলেন আমিনুল, সেই ফারুক আহমেদকে সঙ্গে নিয়েই সোমবার সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে হাজির হন তিনি।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হয়েছেন আমিনুল, একইভাবে সহসভাপতি ফারুক আহমেদ। দুজনই দুজনের নাম প্রস্তাবক। একে অন্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় দুজনের। আজ নতুন কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে বিসিবির কার্যলয়ে।
সভায় ক্রিকেটের অবকাঠামো উন্নয়ন, ঘরোয়া ক্রিকেট সংস্কার এবং নতুন কোচিং কাঠামো নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। কাল আমিনুল বলেন, ‘ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদ সব সময় অনারারি (বিনা পারিশ্রমিকের) ছিল। সেটার কোনো ব্যতিক্রম এখনো হয়নি। সেই ব্যাপারে এখনো চিন্তা করিনি। ক্রিকেট একটা আমানত হিসাবে আমরা পেয়েছি। আইসিসির চাকরি আমি ছেড়ে এসেছি। তাই সেটা নিয়ে আর ভাবছি না। এখন ফোকাস শুধু বাংলাদেশ ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সার্ভিস দেওয়া।’
কীভাবে আবার টেস্ট ইনিংস খেলতে চান, এ নিয়ে কাল আমিনুল বলেন, ‘এটা একটা জার্নির অংশ ধরে নিয়েছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়নের প্রেমেও পড়ে গিয়েছি। স্বল্প মেয়াদের জন্য এসেছিলাম। সেটাই সব সময়ের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু যখন ট্রিপল সেঞ্চুরি প্রোগ্রামের মাধ্যমে ছোট ছোট কাজ শুরু করলাম এবং সাফল্যগুলো দেখতে পেলাম, সেই লোভটা আমি ছাড়তে পারিনি। সেই লক্ষ্যে আমার দেশকে আরও সেবা দেওয়ার জন্য আমি রয়ে গেছি।’
এদিকে ফারুক আহমেদ আগের বিষয় সামনে আনতে চান না। সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের ক্রিকেট এগিয়ে নিতে চান। সদ্য সহসভাপতি হওয়া সাবেক সভাপতি ফারুক বলেন, ‘আমাদের সবার লক্ষ্য একটাই। ছোট ছোট বিষয়গুলো এড়িয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।’
চার বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে এ কমিটি। তবে বিসিবির এ নির্বাচনে একটি বড় অংশ আসেনি। আজ বিসিবির সভায় ২৩টি বিভাগ ২৫ জন পরিচালকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।