শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২৩ পূর্বাহ্ন




হামাস-ইসরায়েলের চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫ ৪:৫৪ pm
গাজা হামলা Flag Israel ইসরায়েল জেরুজালেম israyel israil netaniyahu নেতানিয়াহু ইসরাইল Map of Palestine Jerusalem israel palestine gaja gaza Flag hamas ফিলিস্তিন পতাকা হামাস গাজা গাযা Al-Aqsa masjid আল আকসা মসজিদ মুকাদ্দাসAl-Aqsa masjid আল-আকসায় ক্ষেপণাস্ত্র গাজা
file pic

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ বন্ধে চলমান সংলাপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে, কূটনীতি ও সংলাপই যেকোনও সংঘাত সমাধানের একমাত্র উপায়। এই মর্মান্তিক সংকটের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক উদ্যোগকে সহজতর করার জন্য সব স্টেকহোল্ডারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ আশা করে, এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা পুনরুদ্ধার এবং গাজার জনগণের প্রচণ্ড দুর্ভোগের অবসান ঘটবে। গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়া একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র বাস্তবায়নের পথ প্রশস্ত করবে।

বাংলাদেশ গাজায় শান্তি ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে প্রস্তুত এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের পূর্ববর্তী সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য তার অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বাংলাদেশ।

গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে যা আছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ঘোষণা করেছেন, ইসরাইল ও হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। মিশরে কয়েক দিন ধরে চলা পরোক্ষ আলোচনার পর এই সমঝোতা হল।

কায়রো থেকে এএফপি এই খবর জানায়। মিশর, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের পাশাপাশি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী কাতার বলেছে, এটি ‘গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ। এর মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ হবে, ইসরাইলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত হবে।’

ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, ‘সব বন্দি খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে এবং ইসরাইল তাদের সেনা একটি নির্ধারিত সীমারেখায় সরিয়ে নেবে যা একটি শক্তিশালী, স্থায়ী ও চিরস্থায়ী শান্তির প্রথম পদক্ষেপ।’

একজন হামাস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই চুক্তির আওতায় তাদের হাতে আটক থাকা ২০জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিবে, বিনিময়ে ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং ১ হাজার ৭০০ জনকে যুদ্ধ শুরুর পর আটক করা হয়।

চুক্তি কার্যকর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বিনিময় সম্পন্ন হবে। একটি ফিলিস্তিনি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, এটি অন্যান্য ফিলিস্তিনি দলগুলোর সঙ্গেও সমন্বয় করে চূড়ান্ত হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, চুক্তিতে বন্দি বিনিময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ‘নির্দিষ্ট স্থান থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার’ এবং দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজা উপত্যকায় ‘ত্রাণ প্রবেশের’ বিষয়টি রাখা হয়েছে।

হামাস জানায়, যুদ্ধবিরতির প্রথম পাঁচ দিনে প্রতিদিন অন্তত ৪০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করবে। পরবর্তী সময়ে এই সংখ্যা বাড়বে।

চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে, গাজার দক্ষিণ থেকে বাস্তুচ্যুতদের গাজা সিটি ও উত্তরে ফিরে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।

হামাস ট্রাম্পকে আহ্বান জানিয়েছে, তিনি যেন চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নে ইসরাইলকে বাধ্য করেন এবং তারা যেন এড়িয়ে যাওয়ার বা বিলম্ব করার সুযোগ না পায়।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানান, দুই পক্ষই গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের সব ধারা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় একমত হয়েছে।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, চুক্তিটি অনুমোদনের জন্য তিনি বৃহস্পতিবার তার মন্ত্রিসভার বৈঠক ডাকবেন।

চুক্তি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মিশরে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হবে।

হামাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা ‘অবিলম্বে’ শুরু হবে।

গাজা নিয়ে ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, গাজায় আটক সকল জিম্মিকে মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং ধাপে ধাপে ওই ভূখণ্ড থেকে ইসরাইলি সেনাপ্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছিল।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD