২০০২ সালের বিশ্বকাপের কথা মনে আছে নিশ্চয়ই। দুই স্বাগতিক জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার আয়োজন চলাকালে স্টেডিয়াম কিংবা স্টেডিয়ামের বাইরে ফুটবলপ্রেমীদের হাতে শোভা পাচ্ছিল ঐতিহ্যবাহি হাতপাখা।
৮ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বড় এই খেলার আয়োজনে ফুটবলভক্তরা পরিচিত হন ভুভুজেলার সঙ্গে। ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ভুভুজেলার অপব্যবহারের কারণ দেখিয়ে স্টেডিয়াম থেকে তা নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল প্রশাসন একে দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবলের অঙ্গ হিসেবে উপস্থাপন করে। পরে ফিফা ২০০৯ সালে কনফেডারেশন কাপ ও ২০১০ বিশ্বকাপ ফুটবলে ভুভুজেলা ব্যবহারের অনুমতি দেয়।
এ বছর, কাতারের খলিফা নাইমি ২০২২ সালের বিশ্বকাপের জন্য ফুটবল অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী মাথার স্কার্ফ যেটিকে ঘুত্রা বলা হয় সেটি বাজারে এনেছেন। ২৬ বছর বয়সী নাইমি রাজধানী দোহার সৌক ওয়াকিফ মেট্রো স্টেশনের এক কোণে তার ‘ঘুত্রা মুন্ডো’ দোকানে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মধ্যপ্রাচ্যে আয়োজিত প্রথম টুর্নামেন্টের জন্য সারাবিশ্ব থেকে লাখ লাখ ফুটবল ভক্ত এখন কাতারে। ফলে উপসাগরীয় দেশটিতে বেড়েছে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিধি। নাইমির এই মাথার স্কার্ফ শোভা পাচ্ছে গ্যালারিতে।
নাইমি বলেন, মাথার এই ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ বিক্রি একটা উদ্দেশ্য। তবে এটি তৈরির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ফুটবলপ্রেমীদের মাঝে দেশটির সংস্কৃতি তুলে ধরা যেটি নিয়ে তিনি গর্ববোধ করেন।
নাইমি বলেন, ঘুত্রা একটি ঐক্যের প্রতীক যা আমাদের জাতীয় পোশাকের অংশ। এটি ‘বিশ্বকে শেখায় এবং দেখাচ্ছে কাতারিরা স্বাগত জানাচ্ছে তাদের, আমাদের সংস্কৃতিতে অংশ নেওয়ার জন্য এবং ঘুত্রা আতিথেয়তার একটি প্রতীক।
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ৩২টি দলের সব পতাকা দেওয়া হয়েছে ঘুত্রায়। নাইমি আরও ঐতিহ্যবাহী আনুষাঙ্গিক কিছু জিনিসও তুলে ধরছেন ফুটবল অনুরাগাীদের মাঝে।
সূত্র: আল-জাজিরা