 
																
								
                                    
									
                                 
							
														চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধাক্কা সামলাতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন। টেকসই উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে। এডিসি উত্তরণের পর বর্হিবিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তাই, দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে কাজ করছে সরকার।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্সে (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে মানব সম্পদ উন্নয়ন’ বিষয়ক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বৈঠকে এলডিসি পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং বর্হিবিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও দক্ষতা অর্জনে কিভাবে কাজ করতে হবে, সে বিষয়াদি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
এসময় আলোচকরা বলেন, উন্নত বিশ্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চর্চা শুরু হলেও; বাংলাদেশে এখনও সেই সংস্কৃতি আসেনি। তবে দ্রুতই আসবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধাক্কা সামলাতে হলে, এই পরিবর্তনশীল সময়ে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। তাছাড়া, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেশের বাইরে পাঠানো হয় অদক্ষ শ্রমিকদের। কিন্তু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানবসম্পদ পাঠালে বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট তাসকীন আহমেদ বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে। তাছাড়া, শিল্পের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তিগত ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াতে হবে।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, দক্ষ শ্রমিক তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আন্তর্জাতিক চাহিদার ভিত্তিতে, পেশা অনুযায়ী প্রশিক্ষণেও কাজ করছে সরকার। দক্ষতা অর্জনে সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় আলোচকরা আরও বলেন, মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষার্থীদের দেশে রাখতে, কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি প্রযুক্তিগত বিষয়ে বিনিয়োগ করা জরুরি।