মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৫ অপরাহ্ন




সিএনএনের বিশ্লেষণ

হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বড় বাধা ভারত

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ৪:৫১ pm
hasina-modi hasina Prime Minister Sheikh Hasina Wazed প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা Sheikh Hasina Prime Minister Bangladesh প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা Cabinet Secretary মন্ত্রিপরিষদ hasina pmhasina mp pm-hasina hasina hasina pm pm pm hasina pm sheikh hasina sheikh-hasina Shri Narendra Modi Narendra Damodardas Modi Prime Minister of India ভারত ভারতের ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি মোদী नरेंद्र दामोदर दास मोदी নরেন্দ্র মোদি
file pic

একসময়কার ধর্মনিরপেক্ষ নেত্রী, এক বিপ্লবী নেতার কন্যা শেখ হাসিনা। পিতার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পটভূমিতে ১৯৭০ এর দশকে যার রাজনৈতিক উত্থান হয়। পৌঁছান রাজনীতির শীর্ষে। এরপর ক্ষমতা থেকে অবিশ্বাস্যভাবে পতন হয় তার। স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান ভারতে। শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখন তা কার্যকর হতে পারে যদি নয়াদিল্লি তাকে ফেরত দেয়।

২০২৪ সালের ছাত্র বিক্ষোভে সহিংস দমন-পীড়ন চালানোয় ক্ষমতাচ্যুত এই নেত্রীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ওই বিক্ষোভে তার সরকারের পতন হয়। ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠা ১৫ বছরের শাসনের পর তিনি গত বছরের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান এবং তার ঘনিষ্ঠ মিত্রদের অন্যতম একটি দেশের রাজধানীতে আশ্রয় নেন।

এখন তিনি দুই দেশের মধ্যে এক উত্তেজনাপূর্ণ অচলাবস্থার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছেন। ঢাকা তার অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে তাকে প্রত্যর্পণের দাবি জানাচ্ছে। যদিও তিনি জোর দিয়ে বলছেন, তিনি এই অপরাধ করেননি।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মোবাশ্বার হাসান বলেন, গণরোষ থেকে বাঁচতে তাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছিল। তিনি ভারতে লুকিয়ে আছেন আর তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হলো। এটি সত্যিই এক ব্যতিক্রমী গল্প।

সহিংস অতীত

রাজনীতিতে শেখ হাসিনার যাত্রাপথ শেক্সপিয়রীয় আদলের এক গল্পের মতো- মর্মান্তিক ঘটনা, নির্বাসন ও ক্ষমতার আখ্যান, যা তার নিজ দেশের ইতিহাসের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত। বাংলাদেশের ক্যারিশম্যাটিক ‘জাতির পিতা’ শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা। সে হিসেবে তিনি পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধিকারের সংগ্রাম প্রত্যক্ষ করার মধ্য দিয়ে জীবনের শুরুতেই রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাসের রক্তক্ষয়ী একটি রাতই সত্যিকার অর্থে তাকে এ পথে নিয়ে আসে।

এক নৃশংস সামরিক অভ্যুত্থানে সেনা কর্মকর্তারা ঢাকার বাসভবনে তার বাবা, মা ও তিন ভাইকে হত্যা করেন। ওই সময় শেখ হাসিনা ও তার বোন পশ্চিম জার্মানি সফরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। সেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির পর ক্ষমতায় আসেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি ছিলেন শেখ হাসিনার ভবিষ্যতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়ার স্বামী।

শেখ হাসিনার জীবন ওই এক রাতেই পাল্টে যায় এবং তিনি ছয় বছর ভারতে নির্বাসিত জীবন কাটাতে বাধ্য হন। এ সময়টি ভবিষ্যৎ এই নেত্রীর মনে ভারত রাষ্ট্রের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা গেঁথে দেয়। অবশেষে ১৯৮১ সালে যখন তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন, তখন দেশটি তার প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শ ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য সোচ্চার ছিল। তবে তিনিও এমন এক রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন, যা নির্ধারিত হতে যাচ্ছিল বিয়োগান্ত ঘটনার মধ্যে নিপতিত হওয়া আরেক নারী দ্বারা- খালেদা জিয়া, যার স্বামীও পরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন।

বাধ্যতামূলক নির্বাসন থেকে ফিরে আসার দিনটির কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেছিলেন, যখন আমি বিমানবন্দরে নেমেছিলাম, তখন আমার কোনো আত্মীয়কে দেখিনি, কিন্তু লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিলাম। সেটাই ছিল আমার একমাত্র শক্তি। এভাবেই শুরু হয়েছিল ‘বেগমদের লড়াইয়ের’ যুগ- দুই নারীর মধ্যে এক গভীর ব্যক্তিগত অথচ ধ্বংসাত্মক দ্বন্দ্ব, যার প্রভাব পরবর্তী ৩০ বছর ধরে বাংলাদেশকে গ্রাস করেছিল।

‘তাকে পালাতে হলো’

পিতার দল আওয়ামী লীগের হাল ধরে হাসিনা প্রতিকূল রাজনৈতিক পথে এক দীর্ঘ যাত্রা শুরু করেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের মধ্যে তাকে গৃহবন্দিত্ব ও দমন-পীড়ন মোকাবিলা করতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা তার দলকে নির্বাচনী বিজয় এনে দেন এবং প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন।

ক্ষমতায় এসে তার প্রথম কাজ ছিল ১৯৭৫ সালের অভ্যুত্থান এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার শুরু করার ঘোষণা দেওয়া। যা ছিল অবশেষে ন্যায়বিচার পাওয়ার প্রচেষ্টার সূচনা। ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম হিসেবে পরিচিত শেখ হাসিনা এক মেয়াদে দায়িত্ব পালন করার পর পরবর্তী নির্বাচনে খালেদা জিয়ার কাছে হেরে যান। কিন্তু ২০০৮ সালে তিনি যখন আবার ক্ষমতায় ফেরেন, তখন তাকে এক বদলে যাওয়া নেত্রী হিসেবে দেখা যায়- যিনি ছিলেন আরও দৃঢ়, কম আস্থাশীল এবং নিজের অবস্থান চিরস্থায়ীভাবে সুরক্ষিত করতে বদ্ধপরিকর।

পরবর্তী ১৫ বছর তিনি ক্রমেই কঠোরতার সঙ্গে বাংলাদেশ শাসন করেন এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যুগের সূচনা করেন। একই সময়ে তিনি ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন দেন, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে নয়াদিল্লির হাতকে শক্তিশালী করেন, যা পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে বৈরিতা টেনে আনে। তবে বাংলাদেশের উন্নয়নের সাফল্যের জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করেছিল যে তিনি ও তার সরকার একদলীয় ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। সমালোচকেরা রাজনৈতিক সহিংসতার বাড়বাড়ন্ত, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং গণমাধ্যম ও বিরোধী মতের ব্যক্তিত্বদের হয়রানির ক্রমবর্ধমান ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।

ভারতীয় সংবাদপত্র ‘দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ সম্প্রতি এক সম্পাদকীয়তে মন্তব্য করেছে, চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা ভারতের ওপর কোনো প্রশ্ন ছাড়াই পূর্ণ সমর্থনের জন্য নির্ভর করতে পারতেন। তবে দেশের অভ্যন্তরে তার ভাবমূর্তিতে এক আগ্রাসী দমন-পীড়নের কালিমা লেগে যায়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মোবাশ্বার হাসান বলেন, ক্ষমতায় থাকার জন্য তিনি ব্যাপক রক্তপাত ঘটিয়েছেন।

ক্ষমতার ওপর শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণ আপাতদৃষ্টে অটুট মনে হয়েছিল। জনসমর্থন রয়েছে, এমন বিক্ষোভ মোকাবিলা, গ্রেপ্তার ও হত্যাচেষ্টার মতো ঝড় সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি পারদর্শী প্রমাণিত হয়েছিলেন। কিন্তু গত বছর তরুণদের নেতৃত্বাধীন যে অভ্যুত্থান হয়েছিল, তা ছিল ভিন্ন। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে শুরু হওয়া ছাত্র বিক্ষোভ দ্রুতই তার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী এক গণ-আন্দোলনে রূপ নেয়। জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার এক নৃশংস দমন-পীড়ন চালায়, যাতে ১ হাজার ৪০০ জনের মতো মানুষ নিহত হন।

তবে এই রক্তপাত আন্দোলনকে দমন করতে পারেনি, বরং তা আন্দোলনকে আরও বেগবান করে তোলে, জনগণের ক্ষোভকে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত করে, যা শেষ পর্যন্ত তার সরকারকে উৎখাত করে।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মোবাশ্বার হাসান বলেন, তাকে পালাতে হয়েছিল। এটা নিজেই অপরাধের একটি স্বীকারোক্তি। জনগণ, বিভিন্ন বাহিনী- সবাই তার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছিল। কারণ, তিনি সীমা অতিক্রম করেছিলেন। তিনি হত্যা করেছেন, তার নির্দেশে বহু মানুষ হত্যার শিকার হয়।

মৃত্যুদণ্ডের রায়

নয়াদিল্লিতে রাজনৈতিক শরণার্থী হিসেবে শেখ হাসিনার জীবন তার গল্পকে পূর্ণ চক্রে ফিরিয়ে এনেছে। প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে তিনি যে নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছিলেন, সেই একই অবস্থায় তাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে এই শরণার্থী জীবন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধাপরাধ আদালত- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তার বিচার হয়েছে এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনাল গঠনে একসময় তিনি নিজেই সহযোগিতা করেছিলেন। এ আদালতে হাসিনার বিরুদ্ধে মূলত বিক্ষোভ দমনে বিক্ষোভকারীদের হত্যায় উসকানি, বিক্ষোভকারীদের ফাঁসিতে ঝোলানোর নির্দেশ এবং বিক্ষোভ দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র, ড্রোন ও হেলিকপ্টার ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

আদালত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে তিনি ছাত্র বিক্ষোভকারীদের হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা একেবারে সুস্পষ্ট। মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা হতেই আদালতকক্ষে করতালি দিয়ে স্বাগত জানানো হয়, কেউ কেউ আবার আবেগে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন।

ভুক্তভোগী একজনের বাবা আবদুর রব রয়টার্সকে বলেন, এই রায় আমাদের মনে কিছুটা হলেও শান্তি এনেছে। কিন্তু তার গলায় জল্লাদের দড়ি দেখলেই আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট হব। ভারতেও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান রয়েছে। দেশটি একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করে রায়ের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের কথা জানায় এবং বাংলাদেশের সব পক্ষের সঙ্গে গঠনমূলকভাবে যুক্ত থাকার অঙ্গীকার করেছে।

শেখ হাসিনার পরিবার তাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির প্রশংসা করেছে। তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ভারত সব সময়ই ভালো বন্ধু ছিল। এই সংকটের মুহূর্তে ভারতই মূলত আমার মায়ের জীবন বাঁচিয়েছে।

কী সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভারত

এক দশকের বেশি সময় ধরে শেখ হাসিনা ছিলেন ভারতের সবচেয়ে অটল আঞ্চলিক মিত্রদের একজন। তার সরকার ভারতবিরোধী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে দমনে সহায়ক ছিল, যারা বাংলাদেশের ভূখণ্ডকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর আগে দুই দেশের বিস্তৃত সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছিলেন। এখন তার সরকারের পতন হওয়ায় নয়াদিল্লিতে বড় ধরনের নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে কট্টর ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলো আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন এমন একজন ভারতীয় কূটনীতিক অনিল ত্রিগুণায়েত। তিনি বলেন, নয়াদিল্লি শেখ হাসিনাকে কারাজীবন বা মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে, সে বিষয়ে তার (অনিলের) যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সাবেক এই নেত্রী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। এটি ভারতকে এমন একটি সম্ভাব্য ভিত্তি তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে যে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

ভারতের প্রত্যর্পণ আইন, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির প্রত্যর্পণ চুক্তিতেও রাজনৈতিক অপরাধের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা এ ধরনের পরিস্থিতির জন্যই মূলত যুক্ত করা হয়েছে। এটি কোনো একটি দেশকে কারও অপরাধের ধরন রাজনৈতিক হলে তাকে প্রত্যর্পণের আবেদন প্রত্যাখ্যানের সুযোগ দিয়েছে।

অনিল ত্রিগুণায়েত বলেন, ভারতকে এটাকে রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে দেখতে হবে, মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে নয়, যে অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অবশ্য অনিল ত্রিগুণায়েত উল্লেখ করেন যে, শেখ হাসিনা এখনো সব আইনি প্রতিকার শেষ করেননি। তিনি রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারেন। এরপর হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করা সাবেক এই ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, যেহেতু সব প্রতিকার শেষ হয়নি, তাই ভারত তাকে পাঠানোর জন্য তাড়াহুড়ো করবে না। যেদিন শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়, ওই দিনই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিলম্ব না করে তাকে হস্তান্তর করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানায়।

মন্ত্রণালয় বলেছে, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী এটি ভারতের দায়িত্ব। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় বাংলাদেশে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের জন্য এক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি করেছে।




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD