যমুনার নদীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলওয়ে সেতু চালু হলে প্রতিদিন ৮৮টি ট্রেন (উত্তরবঙ্গে) চলাচল করবে। এখন ৩৮টি ট্রেন এই রুটে চলাচল করে। নির্মাণাধীন রেল সেতুর টাঙ্গাইল প্রান্ত পরিদর্শন শেষে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান।
প্রকল্প পরিচালক জানান, ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় সমুদ্রপথে, এই রেল সেতু চালু হলে সেই পণ্য রেলপথেই আনা-নেয়া করা সম্ভব হবে। প্রকল্পে ১ হাজার শ্রমিক কাজ করছে, যার মধ্যে জাপানি প্রকৌশলী ও শ্রমিক ৩০০ জন।
বিশ্বব্যাপী যে ডলার সংকট চলছে, রেল সেতু নির্মাণে তার প্রভাব পড়বে না বলে জানান এ কর্মকর্তা। কারণ প্রকল্পটি জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে তৈরি করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের খরচ জাপানি মুদ্রা ইয়েন ও বাংলাদেশি টাকায় পরিশোধ করতে হবে। এ প্রকল্পের বাজেট বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও উল্লেখ করেন প্রকল্প পরিচালক।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘এই প্রকল্পের উপকরণের কোনো সংকট নেই। কারণ শুরুর দিকে এ প্রকল্পে যে সময়ের অপচয় হয়েছে, তা আমরা অনেকটা পূরণ করে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি আনতে পেরেছি। শেষ পর্যায়ে কী হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করছি যাতে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে সঠিক সময়ে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।’ তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে সেতু চালুর লক্ষ্য পূরন করা সম্ভব হবে।
প্রকল্প পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা শরিফ আলম।