বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন




ভালো কাজের ফলাফল ও গুনাহের কুপ্রভাব

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১২:৪১ pm
আশুরা রোজা রমজান রোজা sobe borat Shab e Barat namaz রজনী নিসফে শাবান‎ লাইলাতুল বরাত শা'বান মাস ইবাদত বন্দেগি শবে বরাত প্রার্থনা মুসলিম উম্মা মহিমান্বিত রাত শবে বরাত নফল ইবাদত কোরআন তেলাওয়াত জিকির-আসকার জিকির আসকার মোনাজাত ফজিলত ধর্মপ্রাণ মুসলমান Sehri Iftar শবে মেরাজ শবেমেরাজ ইসলাম islam eid e miladunnanabi Eid Milad un Nabi Rabi al awwal রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী Rabi al-Awwal eid মুহাম্মদ সা রবিউল আউয়াল ঈদeid e miladunnanabi Eid Milad un Nabi Rabi al awwal রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী
file pic

>> ভালো কাজের ফলাফল:

#চেহারার উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়।

#অন্তরে নূর বৃদ্ধি করে।

#রিযিক প্রশস্ত করে দেয়।

#শরীরে শক্তি বাড়িয়ে দেয়।

#মানুষের অন্তরে ভালোবাসা সৃষ্টি করে।

সাহাবি আব্দুল্লাহ্‌ ইবনে আব্বাস (রা.) এর মতে এগুলো হচ্ছে আমাদের ভালো কাজের ফলাফল। কিন্তু তিনি এখানেই থেমে যাননি। এরপর তিনি গুনাহের কুপ্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন:
[রাওদাতুল মুহিব্বিন: ১/৪৪১]

>> গুনাহের কুপ্রভাব:

#চেহারা কুৎসিত করে ফেলে:

ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, “রাত গভীর হলে যেভাবে কোন ব্যক্তি আঁধারকে অনুভব করে সেভাবে একজন পাপী তার অন্তরে খুঁজে পাবে অন্ধকারকে। বাহ্যিক অন্ধকারে যেমন সে চোখ দিয়ে ঠিকমতো দেখতে পায় না, ঠিক একইভাবে মনের এই অন্ধকারও প্রভাব ফেলে তার অন্তরে। কারণ, (আল্লাহ্ তা’আলার প্রতি) আনুগত্য হচ্ছে নূর, আর অবাধ্যতা হচ্ছে আঁধার। অন্ধকার যতো বাড়বে, তার সংশয়ও ততো বাড়বে। একসময়ে সে বিদ’আতে লিপ্ত হবে। পথভ্রষ্ট হবে। সে হচ্ছে এক অন্ধের মতো। যে ঘুটঘুটে অন্ধকারে রাতের বেলা বের হয়েছে। এভাবে নিজের অজান্তেই সে নিজের ধ্বংস ডেকে এনেছে। এই অন্ধকার একসময় অনেক বেড়ে গিয়ে তার চোখকে ঢেকে দেয়। মুখে আবরণ ফেলে দেয়। একসময় সবাই তার চেহারায় কদর্যতা দেখতে পায়।”
[জাওয়াবুল কাফি: ১/৫৬]

#হৃদয়ে কালিমা লেপন করে:

ইমাম মালিক (রহ.), ইমাম শাফি’ই এর অসাধারণ মেধা আর প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন, “আমার মনে হয় আল্লাহ্ তায়ালা তোমার অন্তরে এই নূর ঢেলে দিয়েছেন। একে গুনাহের অন্ধকার দিয়ে দূর করে দিয়ো না।”
[জাওয়াবুল কাফি: ১/৫২]

#রিযিক কমিয়ে দেয়:

রাসূল (সা) বলেন, “মানুষ তার গুনাহের কারণে রিযিক থেকে বঞ্চিত হয়।”
[ইবনে হিব্বান, হাদীস: ৮৭২]

#দেহকে দূর্বল করে ফেলে:

শুধু তাই না গুনাহ মানুষের তওবা করার ক্ষমতাকেও কেড়ে নেয়। ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, “গুনাহ মানুষের ইচ্ছাশক্তিকে দূর্বল করে ফেলে। গুনাহ্ করার আকাঙ্ক্ষা বাড়িয়ে দেয়। কমিয়ে দেয় তওবা করার ইচ্ছাকে। একসময় তার আর তওবা করার কোন ইচ্ছাই থাকে না। (আর যদি কোনভাবে তওবা করে, তবে) সে ক্ষমা চায়, অনুশোচনা প্রকাশ করে। কিন্তু সেটা মুখের ঠোঁট নাড়ানো ছাড়া আর কিছুই না। তার তওবা তো মিথ্যুকদের তওবার মতো। (যে মুখে তওবা করলেও) ভেতরে ভেতরে ঠিকই গুনাহ করার ধান্দায় থাকে। তার ইচ্ছা থাকে সে গুনাহের ওপরই অটল থাকার।
[জাওয়াবুল কাফি: ১/৫৬]

#লোকজনের মনে ঘৃণা সৃষ্টি করে:

একজন সালাফ বলতেন, “কোন গুনাহ্‌ করলে আমার বাহন এমনকি আমার স্ত্রীর মধ্যেও আমি এর প্রভাব দেখতে পেতাম।”
[জাওয়াবুল কাফি: ১/৫৪]

গুনাহ এভাবেই সবদিক দিয়ে আমাদের বিপর্যস্ত করে ফেলে। গুনাহের সময়টুকু হয়তো খুব উপভোগ করা যায়। কিন্তু এরপরের অনুভূতিটা কেমন? লজ্জার, অনুশোচনার, অপমানের।

-শিহাব আহমেদ তুহিন

IFM desk




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD