সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৯ অপরাহ্ন




নাশকতা ঠেকাতে মাঠে থাকবে জামায়াত-এনসিপিসহ ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলো

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৮ am
Bangladesh Jamaat-e-Islami বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী
file pic

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় আজ। এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ যেন কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সেই লক্ষ্য নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী দলগুলো মাঠে থাকবে। বিএনপিও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। দলগুলো বলছে, কোথাও জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিহত করবে।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী নেতারা বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। তারা জানান, হাজার হাজার মানুষ গুম, খুন ও হত্যার শিকার হয়েছে। তাদের দাবি, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছে। নেতারা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তারপরেও তারা থামেনি। তারা বলেন, একের পর এক নাশকতা চলছে। ১৩ নভেম্বর ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে গাড়িতে আগুনসহ সহিংসতা হয়েছে। আজকের রায়কে কেন্দ্র করে নতুন করে নাশকতার শঙ্কা রয়েছে। এই কারণে তারা রাজপথে সতর্কভাবে থাকবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার বিরুদ্ধে যেটা হয়েছে তার রায় বের হবে। এই নিয়ে চরম একটা অনিশ্চয়তা, একটা আতঙ্ক সারা দেশে বিরাজ করছে। একটা মহল বাংলাদেশে আবার নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশের ছাত্রদের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন নষ্ট না হয়। গণতন্ত্রের উত্তরণের পথ কেউ যেন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।’ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, তারা সারা দেশে সতর্কভাবে মাঠে থাকবেন। কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হলে প্রতিহত করবেন।

৮ দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামী’র সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘নাশকতা ঠেকানোর দায়িত্ব মূলত সরকারের। তবে আমাদের নেতাকর্মীরা আগের মতোই মাঠে থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তারা পাহারা দেবে। ফ্যাসিস্টকে আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।’

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ’এটা প্রধানত সরকারের দায়িত্ব। যদি কোনো নাশকতার আশঙ্কা থাকে, তাহলে সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেটাকে প্রতিহত করা উচিত। তারপরেও রাজনৈতিক দলগুলো এক ধরনের সতর্কতা রাখবে। তারা স্ট্যান্ডবাই থাকবে। জননিরাপত্তার জন্য হুমকি যেন না তৈরি হয়, সে বিষয়ে আমরা সবাই সতর্ক থাকব।’

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমরা এটা নিয়ে মাঠে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না। কারণ এটা একটা লিগ্যাল প্রসিকিউটের ব্যাপার। আইনগত বিষয়ের রাজনৈতিকীকরণ হলে আওয়ামী লীগ যদি একে রাজনৈতিকভাবে নেয়, তখন আমাদেরও রাজনৈতিকভাবে নিতে হতে পারে। তবে যদি কোনো নাশকতা বা অপরাজনীতির চেষ্টা হয়, আমরা অবশ্যই জনমত তৈরি করব। তারা বিচার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করলে আমরা তা সফল হতে দেব না।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক-উস-সালেহীন বলেন, ‘ফ্যাসিবাদীদের নাশকতা রোধে এনসিপির নেতাকর্মীরাও মাঠে থাকবেন।’

১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ‘আমরা যার যার জায়গা থেকে মাঠে থাকব। কেউ যেন নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকব। আগুন সন্ত্রাসের প্রতিবাদে জনগণের জানমালের পাহারা দেব।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। তাদের মাঠে নামার সুযোগ নেই। তারা যদি মাঠে নামে জনগণই তাদের প্রতিহত করবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে রাজপথে থাকব যাতে তারা কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারে।’(যুগান্তর)




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD