কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি করতে গিয়ে সরাসরি ঘুসের দাবির মুখে পড়েছেন নাছির উদ্দিন নামে এক ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে ২ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক নাজমা আক্তার নামজারি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে ভুক্তভোগীর কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করেন। নাছির উদ্দিন ১ হাজার ৫০০ টাকা দিতে চাইলে নাজমা তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বলেন, ‘না, দুই হাজার টাকাই দিতে হবে। স্যারের গাড়ি ভাড়া আছে, খরচ আছে।’ পরে তিনি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেন এবং তা নিজের ড্রয়ারে রেখে দিতে দেখা যায়। সেই সময় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘২ হাজার টাকা দেন, এখনই প্রস্তাব দিয়ে দেব।’
ভুক্তভোগী প্রথমে টাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার হাতে দিতে চাইলে নাজমা বাধা দেন এবং নিজেই টাকা গ্রহণ করেন। এরপর ভুক্তভোগীকে স্যারের কক্ষে পরে প্রবেশ করার কথাও বলেন তিনি।
ভিডিওতে বারবার যে ‘স্যার’-এর কথা উল্লেখ করা হচ্ছে, তিনি চন্দনপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি চন্দনপুর ও রামপুর বাজারের বড়কান্দা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযুক্ত নাজমা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া সত্ত্বেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী আক্তার বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়া এবং নিয়মিত অফিসে না থাকার অভিযোগসহ বেশ কিছু তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। তাকে এই অফিস থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।(যুগান্তর)