বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন




মঙ্গোলিয়া সীমান্তে শতাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন!

আউটলুক বাংলা রিপোর্ট
  • প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৯:৪৮ am
missaile Missile iran হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র
file pic

চীনের সামরিক সক্ষমতা ও পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার দ্রুত সম্প্রসারণ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের এক খসড়া প্রতিবেদনে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চীন তিনটি ‘সাইলো ফিল্ডে’ (সাধারণত কৃষিক্ষেত্রে বা শিল্পে বাল্ক বা প্রচুর পরিমাণে শস্য, খাদ্যদ্রব্য, সিমেন্ট, কয়লা ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত বিশাল কাঠামো বা ট্যাঙ্কগুলোকে বোঝানো হয়) ১০০টিরও বেশি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) মোতায়েন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পেন্টাগনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন বর্তমানে বিশ্বের অন্য যে কোনো পারমাণবিক শক্তিধর দেশের তুলনায় দ্রুতগতিতে তার অস্ত্রভাণ্ডার সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করছে। তবে এ ধরনের প্রতিবেদনকে ‘চীনকে কলঙ্কিত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেছে বেইজিং।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পারেন। কিন্তু পেন্টাগনের খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিং এ ধরনের উদ্যোগে আগ্রহী বলে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বা আরও বিস্তৃত আলোচনা নিয়ে বেইজিংয়ের কোনো আগ্রহ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’

প্রতিবেদনে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, চীন মঙ্গোলিয়া সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত সাইলো ফিল্ডগুলোতে ১০০টিরও বেশি সলিড-ফুয়েল ডিএফ-৩১ আইসিবিএম মোতায়েন করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পেন্টাগন আগে এসব সাইলো ফিল্ডের অস্তিত্বের কথা জানিয়েছিল, তবে সেখানে কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে সে বিষয়ে এবারই প্রথম সংখ্যা উল্লেখ করা হলো।

তবে, এই প্রতিবেদনে নতুন করে মোতায়েন করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে চীনের পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬০০-এর কিছু বেশি, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় উৎপাদনের গতি কিছুটা কমার ইঙ্গিত দেয়।

তবে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীনের পারমাণবিক সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটি এক হাজারের বেশি ওয়ারহেডের মালিক হতে পারে।

চীন দাবি করে আসছে, তারা আত্মরক্ষামূলক পারমাণবিক কৌশল অনুসরণ করে এবং ‘নো ফার্স্ট ইউজ’ নীতি মেনে চলে।

পেন্টাগনের এই প্রতিবেদনে তাইওয়ান ইস্যুতেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, চীন ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে একটি যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স




আরো






© All rights reserved © outlookbangla

Developer Design Host BD