ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল শনিবার (১৯ নভেম্বর)। রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যাঁ তিরল।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমাবর্তনের জন্য ইতোমধ্যেই সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গতকাল (১৭ নভেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভাসমান দোকান-পাট উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম।
এছাড়াও আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টিএসসি ক্রসিং থেকে দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট থেকে দোয়েল চত্বর এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তায় সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সমাবর্তন অনুষ্ঠান সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল সদস্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় সহযোগিতা কামনা করেন উপাচার্য।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সমাবর্তনের প্যান্ডেলে সবকিছু ঠিক আছে কিনা, প্রস্তুতিতে কোনও ত্রুটি যেন না থাকে সেজন্য মূল অনুষ্ঠানের মহড়া চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও রয়েছেন তৎপর।
৫৩তম সমাবর্তনে মোট ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক অংশগ্রহণ করবেন। সমাবর্তন ঘিরে গ্র্যাজুয়েটদের মধ্যে বিরাজ করছে আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর উদ্দীপনা। গত ১৭ নভেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), কলাভবন, অপরাজেয় বাংলা, রাজু ভাস্কর্য, বটতলা, সিনেট ভবন, মল চত্বর, কার্জন হলসহ ক্যাম্পাসের প্রায় সব পয়েন্ট গ্রাজুয়েটদের পদচারণায় মুখর থাকতে দেখা গেছে। কালো গাউন, সমাবর্তনের বিশেষ হ্যাট পরিহিত গ্র্যাজুয়েটদের পদচারণায় মুখর ক্যাম্পাস।
এছাড়াও গায়ে কালো গাউন আর মাথায় কালো হ্যাট পরে সেলফি, গ্রুপ ফটোসেশনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে সমাবর্তন প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের। কেউ বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে মুহূর্তগুলো স্মরণীয় করে রাখছেন, কেউ প্রিয়জনকে নিয়ে,আবার অনেক গ্র্যাজুয়েটকেই দেখা গেছে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ছবি তুলে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যস্ত।
এবারের সমাবর্তনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী তাহসান আহমেদ বলেন, আজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের গাউন দেওয়া শুরু করেছে। ঢাবিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সমাবর্তনের এই বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। আর কয়েকদিন পরই সেই বিশেষ দিন। গাউন পেয়ে বন্ধুদের সাথে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি। মুহূর্তগুলো খুবই ভালো লাগছে।