কোম্পানিগুলোর মধ্যে পদ্মা অয়েল ও ইস্টার্ন ক্যাবলস নগদ এবং শমরিতা হসপিটাল নগদের সঙ্গে বোনাস দেবে। অ্যাটলাস বাংলাদেশ ও প্রিমিয়ার লিজিং কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ার হোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিগুলো হলো- পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড, শমরিতা হসপিটাল লিমিটেড, ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড, অ্যাটলাস বাংলাদেশ লিমিটেড ও প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিগুলো বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রিমিয়ার লিজিং ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং বাকি চারটি কোম্পানি ২০২২ সালের ৩০ জুনে শেষ হওয়া হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে পদ্মা অয়েল ও ইস্টার্ন ক্যাবলস নগদ এবং শমরিতা হসপিটাল নগদের সঙ্গে বোনাস দেবে। অ্যাটলাস বাংলাদেশ ও প্রিমিয়ার লিজিং কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
পদ্মা অয়েল
আয়ের অর্ধেক পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি। তারা বিনিয়োগকারীদের ১২৫ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ১২ টাকা ৫০ পয়সা দেবে। যেখানে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৭ পয়সা। একই সঙ্গে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৮০ টাকা ৩৮ পয়সায়।
লভ্যাংশ পেতে হলে বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিওতে শেয়ার ধারণ করতে হবে আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত, কারণ ওই দিন রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। লভ্যাংশসহ আর্থিক প্রতিবেদন শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করবে আগামী বছরের ২১ জানুয়ারি।
ইস্টার্ন ক্যাবলস
শেয়ারপ্রতি ৩৪ পয়সা আয়ের বিপরীতে এই কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেবে ২ শতাংশ বা ২০ পয়সা। একই সময়ে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ টাকা ৬ পয়সায়। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ ডিসেম্বর। তা অনুমোদনের জন্য এজিএম হবে আগামী বছরের ৩০ জানুয়ারি।
শমরিতা হাসপাতাল
কোম্পানিটি নগদ ও বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। ৫ শতাংশ নগদ বা শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা এবং ৫ শতাংশ বোনাস বা প্রতি ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ৫টি নতুন শেয়ার পাবেন এর বিনিয়োগকারীরা। আলোচিত সময়ে কোম্পানির ইপিএস হয়েছে ৮৬ পয়সা। আর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ৩২ পয়সায়। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। এটি অনুমোদনের জন্য এজিএম হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।
অ্যাটলাস বাংলাদেশ
লোকসানে থাকায় বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না কোম্পানিটি। হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির ইপিএস ঋণাত্মক বা লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। আর এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১২৬ টাকায়। কোম্পানি রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করেছে ২৯ নভেম্বর। লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য এজিএম হবে ২৭ ডিসেম্বর।
প্রিমিয়ার লিজিং
লোকসানে ডুবে থাকায় এই কোম্পানিও বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেবে না। হিসাববছর শেষে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১৮ টাকা ১৮ পয়সা। কোম্পানির কোনো সম্পদ নেই, বরং এই সময়ে সমন্বিত শেয়ারপ্রতি দায় দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ১২ পয়সায়। লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর। বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে তা অনুমোদনের জন্য কোম্পানি এজিএম করবে ২২ ডিসেম্বর।