বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ব্লক মার্কেটে ফ্লোর প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ কম দামে শেয়ার বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। নতুন এ নির্দেশনা আগামীকাল থেকেই কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে বিএসইসি। বিএসএফসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বিএসইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশে প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে কমিশন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশকে (সিডিবিএল) নির্দেশ দেয় যে, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এক্সচেঞ্জগুলো ব্লক মার্কেটের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে বর্তমানে সার্কিট ব্রেকার সিস্টেম ও ফ্লোর প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে শেয়ার লেনদেন করার অনুমতি দিতে পারবে। এক্ষেত্রে আগের দিনে পাবলিক বা স্পট মার্কেটে লেনদেন শেষে শেয়ারের সর্বশেষ দর থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কম দামে শেয়ার বিক্রি করা যাবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান সার্কিট ব্রেকারের আওতায় ফ্লোর প্রাইস ছাড়া ব্লক মার্কেটে কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করা যাবে। তবে বর্তমান ফ্লোর প্রাইসের থেকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি নিচে নামতে পারবে না। অনেকটা ব্লক মার্কেটের জন্য এখনকার চেয়ে ১০ শতাংশ কমে আরেকটি ফ্লোর প্রাইস তৈরি করা হয়েছে নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে।
যেমন ২০ টাকা ফ্লোর প্রাইসের একটি শেয়ার ব্লকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমে ১৮ টাকায় লেনদেন করা যাবে। তবে এই শেয়ারটি পরবর্তীতে ওই ১৮ টাকা বিবেচনায় আরও কমে লেনদেন হতে পারবে না। এটা আগের দিনের ক্লোজিং দর বিবেচনায় ১০ শতাংশ উত্থান-পতনে লেনদেন হতে পারবে। আর ফ্লোর প্রাইসের কারণে ক্লোজিং প্রাইস যেহেতু ২০ টাকার নিচে নামার সুযোগ নেই, তাই ব্লকেও ১৮ টাকার নিচে নামার সুযোগ থাকবে না।
এদিকে ২০ টাকা ফ্লোর প্রাইসের একটি শেয়ার যদি আগের দিন ২০ টাকার উপরে ক্লোজিং প্রাইস হয়। তাহলে ওই উপরের দর বিবেচনায় ব্লকে শেয়ারটি ১০ শতাংশ উত্থান-পতনে লেনদেন হবে। ধরি, ২০ টাকার ফ্লোর প্রাইসের একটি শেয়ার গতকাল ক্লোজিং প্রাইস ছিল ২১ টাকা। এই অবস্থায় ব্লকে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কমে সর্বনিম্ন ১৮.৯০ টাকায় লেনদেন হতে পারবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যমান সার্কিট ব্রেকারে ২০০ টাকা পর্যন্ত দরের শেয়ারে ১০ শতাংশ উত্থান-পতনের সীমা থাকলেও এর উপরের শেয়ারে এই শতাংশটা কম। ২০১ টাকা থেকে ৫০০ টাকার শেয়ারে ৮.৭৫ শতাংশ, ৫০১ টাকা থেকে ১০০০ টাকার শেয়ারে ৭.৭০ শতাংশ, ১০০১ টাকা থেকে ২০০০ টাকার শেয়ারে ৬.২৫ শতাংশ, ২০০১ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার শেয়ারে ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার উপরের শেয়ারে ৩.৭৫ শতাংশ উত্থান-পতনের সীমা রয়েছে।