আগেই জানা গিয়েছিল, ব্রাজিলের গ্রুপপর্বের বাকি দুই ম্যাচ মিস করবেন নেইমার। শেষ ষোলোতেও খেলা অনিশ্চিত। নেইমার তার অ্যাঙ্কলের চোট সারিয়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য নাসার প্রযুক্তিরও সাহায্য নিয়েছেন। তবে তাকে নিয়ে দ্বিধায় ভুগছে ব্রাজিল।
ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’ গতকাল জানায়, নেইমারকে নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে ক্যামেরুন ম্যাচের পর। আজ গ্রুপ পর্বের শেষ লড়াইয়ে আফ্রিকান জায়ান্টদের মুখোমুখি হবে সেলেসাওরা। ব্রাজিলের সাবেক ফরোয়ার্ড এবং ফুটবল পণ্ডিত কাসাগ্রান্দেস মনে করেন, আনফিট নেইমারকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত বুমেরাং হতে পারে দলের জন্য। ইউওএল নিউজ কোপার ব্রডকাস্টিংয়ে কাসাগ্রান্দেস বলেন, ‘ব্রাজিল ফুটবল দলের টেকনিক্যাল কমিশন এবং মেডিকেল ডিপার্টমেন্ট খুবই অভিজ্ঞ। ডাক্তার রদ্রিগো লাসমারও অসাধারণ।
কোনো খেলোয়াড়কে বেঞ্চে রাখতে হবে কিনা সে ব্যাপারে তারা ভালো করেই জানেন। শেষ ষোলোতে নেইমারকে খেলাতে হলে একটা বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
সে খেলতে স্বস্তিবোধ করছে কিনা। সে মাঠে নামার পর যদি প্রথম দৌড়েই গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব করে অথবা প্রথম ট্যাকেলের পরই মাঠ থেকে তাকে উঠিয়ে নিতে হয় তাহলে দরকার নেই।’ আনফিট নেইমারকে মাঠে নামানোর বিপদ কী হতে পারে সেটাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন ব্রাজিলের হয়ে ১৮ আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৯ গোল করা কাসাগ্রান্দে।
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি খুবই গুরুত্বসহকারে দেখা উচিত। তাকে মাঠে নামানোর দুই মিনিট পরেই যদি উঠিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে দরকার নেই। আমার মতে, বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচে ১০০ ফিট না হলে কাউকে খেলানো উচিৎ নয়। এটা করলে আপনি একটা বদলি খেলোয়াড় হারালেন।’ নেইমারকে ছাড়াই অবশ্য নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পায় ব্রাজিল।
কাসেমিরোর একমাত্র গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। আজ ক্যামেরুনের সঙ্গে কেবল ড্র করলেই গ্রুপসেরা হয়ে শেষ ষোলোতে যাবে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ মঞ্চে ক্যামেরুন ব্রাজিলের পরিচিত প্রতিপক্ষ। এর আগে ১৯৯৪ ও ২০১৪ সালের আসরে ক্যামেরুনকে হারিয়েছিল সেলেসাওরা। আফ্রিকান দলের বিপক্ষে বিশ্বকাপে সাত ম্যাচ খেলে সাতটিতেই জিতেছে ব্রাজিল। গোল দিয়েছেন ২০টি। হজম করেছে মাত্র দুটি।
ক্যামেরুনের বিপক্ষে ব্রাজিলের একমাত্র হারটি ২০১৮ সালে প্রীতি ম্যাচে। এর বাইরে পাঁচ দেখাতেই জিতেছে ব্রাজিল। চলতি আসরে তাদের শক্তিশালী রক্ষণভাগকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেনি সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ড। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ব্রাজিলের গোলমুখে একটি শটও যায়নি। ক্যামেরুনের বিপক্ষে সে ধারা অব্যাহত রাখার মিশন নিয়েই নামবে তিতের দল।